গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের ধাক্কা খেয়ে গেল পাকিস্তান। জঙ্গিদের অর্থের জোগান ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানের নাম উঠছে ‘গ্রে লিস্ট’-এ। অর্থপাচার প্রতিরোধী সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ-এর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দিল্লি।
বারংবার বলা সত্ত্বেও যে পাকিস্তান যে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, সে কথা মনে করিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রাভীশ কুমার বলেছেন, ‘‘এফএটিএফ-এরগাইড লাইন মেনে এবার অন্তত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক পাকিস্তান।’’ তাঁর দাবি, জঙ্গি সংগঠন এবং হাফিজ সইদের মতো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মুখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও কাজের কাজ পাকিস্তান কিছুই করছে না।
২০০৮ মুম্বই হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলে আগে থেকেই গলা চড়াচ্ছিল ভারত। দিল্লির অভিযোগ, লস্কর, জামাত-উদ-দাওয়া কিংবা জৈশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ‘সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য’ হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। ২৪-২৯ জুন প্যারিসের সম্মেলনে অবিকল ভারতের সুর শোনা গিয়েছে ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের গলায়।শুধু পাকিস্তান নয়।‘গ্রে লিস্ট’-এ স্থান পাওয়ায় নজরদারি তালিকায় ঢুকে পড়েছে — ইয়েমেন, সিরিয়া, শ্রীলঙ্কা, ত্রিনিদাদ ও টোবোগো, তিউনিশিয়া এবং ইথিওপিয়া।
আরও পড়ুন: চার বছরে মোদীর বিদেশ সফরে খরচ ৩৫৫ কোটি!
আরও পড়ুন: ৩ দশকে চরম দুর্দশায় পড়বেন ৬০ কোটিরও বেশি ভারতীয়, বলছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক
মনে করা হচ্ছে, ‘গ্রে লিস্ট’-এ স্থান পাওয়ায় পাকিস্তানের উপর চাপ আরও বাড়ল। পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘ডন’-এর দাবি, জঙ্গিদের অর্থের যোগান ঠেকাতে এফএটিএফ-কে আগামী ১৫ মাসের মধ্যে ২৬ টি কর্মসূচি পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসলামাবাদ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হয় পাকিস্তানকে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। নইলে তারা ‘কালো তালিকায়’ ঠাঁই পাবে। যার ফলে বিভিন্ন দেশের আর্থিক সাহায্য তো বন্ধ হবেই। ধাক্কা খেয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের অর্থনীতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy