Advertisement
E-Paper

হুঁশিয়ারিই সার, এক মাস পরেও বদলাল না পরিস্থিতি, কর্নাটকের বিভিন্ন জেলে ফের মিলল মোবাইল, গাঁজার প্যাকেট

কয়েক দিন আগেই কর্নাটকে কারা দফতরের ডিজি পদে বদল করা হয়েছে। নতুন কারাপ্রধানহয়েছেন অলোক কুমার। দায়িত্ব নেওয়ার পরে কর্নাটকের বিভিন্ন জেলে হানা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:৫৪
কর্নাটকের জেলে ফের মিলল মোবাইল।

কর্নাটকের জেলে ফের মিলল মোবাইল। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এক মাস আগেও বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। বেঙ্গালুরুর জেলের কুঠুরিতে মোবাইল ঘাঁটা, টিভি দেখার মতো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে গত নভেম্বরে। তা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল কর্নাটক সরকারকে। সতর্ক করে দিয়েছিলেন সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানিয়ে দিয়েছিল, এ ধরনের অপদার্থতা বরদাস্ত করা হবে না। তার পরেও সেই এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। কর্নাটকের বিভিন্ন জেলে হানা দিয়ে মিলল মোবাইল। পাওয়া গেলে গাঁজার প্যাকেটও।

কয়েক দিন আগেই কর্নাটকে কারা দফতরের ডিজি পদে বদল করা হয়েছে। নতুন কারাপ্রধান হয়েছেন অলোক কুমার। দায়িত্ব নেওয়ার পরে কর্নাটকের বিভিন্ন জেলে হানা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। ওই অভিযানেই পাওয়া গিয়েছে মোবাইল এবং গাঁজার প্যাকেট। গত মাসে বেঙ্গালুরুর যে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল, সেই জেলেও হানা দেন আধিকারিকেরা। এ বারও সেখান থেকে ছ’টি মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়া কারওয়ার জেল থেকে সাতটি মোবাইল এবং ম্যায়সুরু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ছয় প্যাকেট গাঁজা পাওয়া গিয়েছে।

বস্তুত, গত মাসেই বেঙ্গালুরুর জেলের মধ্যে বন্দিদের ‘বিলাসবহুল’ জীবন কাটানোর ভিডিয়ো ভাইরাল (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম) হয়। ওই ভিডিয়োগুলি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। প্রশ্নের মুখে বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ এবং কারা দফতরও। ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কারা দফতরের তৎকালীন ডিজি বি দয়ানন্দ।

জেলের ভিতরে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য এ রকম এলাহি আয়োজনের ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেন সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। জরুরি ভিত্তিতে ওই ঘটনার রিপোর্টও তলব করেন তিনি। মন্ত্রী ওই সময় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘‘এই ধরনের অপদার্থতা বরদাস্ত করব না। যথেষ্ট হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই হওয়া উচিত নয়। বলা হচ্ছে যে, জেলে কর্মীর সংখ্যা কম। কিন্তু যাঁরা আছেন, তাঁরা কী করছেন? এই ধরনের অজুহাত মেনে নেওয়া হবে না।’’

মন্ত্রী ওই সময়ে এ-ও বলেন, ‘‘যদি বন্দিরা জেলের ভিতরেই টিভি, ফোন— সব রকমের সুযোগ পায়, তা হলে জেল কিসের জন্য? সিসিটিভি, জ্যামার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খুব সামান্য জায়গাতেই তা লাগানো হয়েছে।’’ তবে ওই ঘটনার এক মাস কেটে গেলেও পরিস্থিতি বিশেষ বদলাল না। নতুন করে মোবাইল উদ্ধারের পরে নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেল।

Karnataka Prison correctional home
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy