Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Indian Air Force

আগামী সপ্তাহে অম্বালায় আরও তিনটি রাফাল, এপ্রিলে হাসিমারায়

২১টি এক আসন বিশিষ্ট যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ৭টি দুই আসন-বিশিষ্ট প্রশিক্ষণ রাফালও ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসবে।

রাফাল যুদ্ধবিমান— ফাইল চিত্র।

রাফাল যুদ্ধবিমান— ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২০ ১৪:০৯
Share: Save:

চলতি মাসেই ফের রাফাল আসছে ভারতে। বায়ুয়েনা সূত্রের খবর, আগামী ৫ নভেম্বর ৩টি ফরাসি যুদ্ধবিমান হরিয়ানার অম্বালা বিমানঘাঁটিতে এসে পৌঁছবে। সেগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার ‘গোল্ডেন অ্যারো (১৭ নম্বর) স্কোয়াড্রন’-এর অন্তর্ভুক্ত হবে।

পরবর্তী পর্যায়ে জানুয়ারি মাসে ৩টি, মার্চে ৩টি এবং এপ্রিলে ৭টি রাফাল যুদ্ধবিমান ফান্স থেকে ভারতে আসবে। গত ২৯ জুলাই প্রথম দফায় ৫টি রাফাল ভারতে এসে পৌঁছেছিল। অস্ত্রসজ্জার পালা শেষ হওয়ার পর গত ১০ সেপ্টেম্বর সেগুলি আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছে। এপ্রিল পর্যন্ত যে ২১টি এক আসন বিশিষ্ট যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ৭টি দুই আসন-বিশিষ্ট প্রশিক্ষণ রাফালও ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে চলে আসবে। যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে ১৮টিতে অম্বালায় রেখে ৩টিকে উত্তরবঙ্গের হাসিমারা বিমানঘাঁটিতে পাঠানো হবে বলে বায়ুসেনা সূত্রের খবর।

২০১৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী ফান্স থেকে মোট ৩৬টি রাফাল বিমান কিনবে ভারত। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সবগুলি বিমান ভারতে এসে পৌঁছনোর কথা। ভারতীয় বায়ুসেনার দু’টি রাফাল স্কোয়াড্রনের মধ্যে প্রথমটির ঠিকানা হরিয়ানার অম্বালা। দ্বিতীয়টি হবে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটি। চতুর্থ প্রজন্মের ‘মিডিয়াম মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট’ রাফালে রয়েছে ইউরোপের মিসাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা এমবিডিএ-র ‘ম্যাটিওর’ বিয়ন্ড ভিস্যুয়াল রেঞ্জ (দৃষ্টিশক্তির বাইরে আঘাত হানতে সক্ষম) এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্কাল্প’ এবং ‘হ্যামার’ (হাইলি অ্যাজাইল অ্যান্ড ম্যানুভারেবল মিউনিশন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ) ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে উড়তে উড়তেই জ্বালানি ভরে নিতেও (রিফুয়েলিং) দক্ষ রাফাল।

২০০৭ সালে ইউপিএ সরকারের আমলেই ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশনের কাছ থেকে ১২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতায় আসার পর দাসোর সঙ্গে নতুন করে চুক্তি হয় ভারতের। ঠিক হয়, তাদের কাছ থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা হবে। সেই বাবদ ৫৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মোদী সরকারের এই চুক্তি নিয়ে সরব হয় কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা।

আরও পড়ুন: কোভিড কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি, অধিকাংশ ক্ষেত্রের সূচকে বৃদ্ধিতে ইঙ্গিত

অভিযোগ ওঠে, ইউপিএ আমলের চুক্তি অনুযায়ী বিমান পিছু যেখানে ৫৭০ কোটি টাকা দাম পড়ছিল, নয়া চুক্তি করার পর বিমান পিছু দাম পড়ছে ১৬৭০ কোটি টাকা করে। অনেক বেশি দামে চুক্তি করা এবং অনিল অম্বানীর সংস্থাকে বিমান তৈরির বরাত পাইয়ে দেওয়া নিয়ে সেই সময় বিরোধীদের অক্রমণের মুখে পড়ে মোদী সরকার। সম্প্রতি রাফাল চুক্তি নিয়ে সিএজি-র (কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল) রিপোর্টে নিশানা করা হয়েছে কেন্দ্রকে। ফরাসি বিমান নির্মাতা সংস্থার সঙ্গে মোদী সরকারের ‘অফসেট চুক্তি’ (দেশীয় সংস্থাকে প্রযুক্তি হস্তান্তর করে যন্ত্রাংশ নির্মাণ) সংক্রান্ত প্রক্রিয়া কেন এখনও সম্পন্ন হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিএজি।

আরও পড়ুন: পম্পেয়ো বার্তায় ক্ষুব্ধ চিন, ‘তৃতীয় পক্ষ’ আমেরিকার হস্তক্ষেপ নয়, বার্তা বেজিংয়ের

রাফালে ব্যবহৃত স্নেকমা এম-৮৮ জেট ইঞ্জিনের যৌথ উৎপাদনের বিষয়ে চার বছর আগে দু’পক্ষের আলোচনা ফলপ্রসূ হতে চলেছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর। এই ইঞ্জিন ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও-র তৈরি তেজস যুদ্ধবিমানের নয়া সংস্করণ এবং দু’আসনের ‘মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট’-এ ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE