এ বার আংশিক ভাবে সমাজমাধ্যম ব্যবহার করতে পারবেন দেশের সেনাবাহিনীর প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ সদস্য। গোপন এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস হওয়া রুখতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সমাজমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। সেই বিধি খানিক শিথিল করে বলা হয়েছে, এ বার ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন সেনাবাহিনীর সদস্যেরা। কিন্তু সেখানে তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে বা মতপ্রকাশ করতে পারবেন না। এমনকি কোনও ‘কনটেন্ট’ বা পোস্ট শেয়ার করতেও পারবেন না। সেনাবাহিনীর সদস্যদের ভিপিএন, প্রক্সি সাইট ব্যবহার না-করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংশোধিত বিধিতে বলা হয়েছে, স্কাইপ, হোয়াট্সঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং সিগন্যাল-এ স্পর্শকাতর বা গোপনীয় নয়, এমন বিষয়বস্তু বা কনটেন্ট আদানপ্রদান করতেন পারেন কোনও সেনাকর্মী। কিন্তু এই আদানপ্রদান বা কথোপকথন পরিচিত মানুষদের সঙ্গেই করতে হবে। কাদের সঙ্গে এই ধরনের তথ্য আদানপ্রদান বা কথোপকথন চালানো যাবে, তা ঠিক করতে হবে সংশ্লিষ্ট সেনাকর্মীকেই।
আরও পড়ুন:
ইনস্টাগ্রাম, এক্স, কোরা এবং ইউটিউব-এ ‘পরোক্ষ অংশগ্রহণ’ করতে পারবেন সেনাকর্মীরা। মতপ্রকাশ করার সুযোগ না-থাকলেও সেখানে থাকা ‘কনটেন্ট’ দেখার সুযোগ পাবেন তাঁরা। নয়া বিধি অনুসারে, আংশিক ভাবে লিঙ্কডইন-ও ব্যবহার করতে পারবেন সেনাবাহিনীর সদস্যেরা। তবে এই সমাজমাধ্যম ব্যবহার করলে কেবল নিজেদের সিভি আপলোড এবং সম্ভাব্য চাকরিদাতার সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারবেন তাঁরা।
সেনা সূত্রে খবর, নিরাপত্তা সংক্রান্ত দিকটিকে মজবুত রেখে সেনাকর্মীদের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই সূত্রেই তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি এড়িয়ে যাতে সেনাকর্মীরা ডিজিটাল দুনিয়ার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারেন, তার জন্যই দীর্ঘ দিনের বিধিনিষেধ খানিক শিথিল করা হচ্ছে। এত দিন নিয়ম ছিল, চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার পর একজন সেনাকর্মী বা আধিকারিককে নিজেদের ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিতে হবে। নয়া বিধিতে ফেসবুক সম্পর্কে কিছু বলা না-হলেও ইনস্টাগ্রামের উপর থেকে আংশিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হল।