কথায় বলে, ভারতীয়েরা পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তেই যান না কেন, খাওয়ার সময় খোঁজেন সেই ভারতীয় খাবার। তা বলে মহাকাশেও! ভারতীয় বায়ুয়েনার পাইলট শুভাংশু শুক্ল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এ নিজের সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন মুগের হালুয়া, ভাত এবং আমের রস। মঙ্গলবার ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন জানান, ২৯ মে এই মহাকাশ যাত্রার সূচনার কথা ছিল। তবে তা পিছিয়ে গিয়েছে। জুনে হতে চলেছে সেই অভিযান।
রাকেশ শর্মার ৪০ বছর পরে মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন কোনও ভারতীয়। জুনে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের তৈরি মহাকাশ যানে চেপে আইএসএসে যাচ্ছেন শুভাংশু। সেখানেও তাঁর সঙ্গে থাকবে ভারতীয় খাবার। এ কথা জানিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর বেঙ্গালুরুর হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ডিরেক্টর ডিকে সিংহ। গত বছর আইএসএসে গিয়ে মাছের ঝোল খেয়েছিলেন আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। তার আগে সিঙাড়া নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ইসরোর চেয়ারম্যান নারায়ণন জানান, জুনে হতে চলেছে অভিযান। আমেরিকার ফ্লরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেবে মাস্কের সংস্থার মহাকাশযান ‘স্পেস এক্স ড্রাগন’। এতে খরচ পড়বে ৫৫০ কোটি টাকা। ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশুর সঙ্গে ওই অভিযানে থাকবেন নাসার প্রাক্তন মহাকাশচারী পেগি হুইটসন, পোল্যান্ডের স্লায়োস উজ়নানস্কি-উইসনিউস্কি, হাঙ্গেরির টিবর কাপু। অ্যাক্সিয়োম স্পেস নামে আমেরিকার একটি বেসরকারি সংস্থার মহাকাশ অভিযানে ছাড়পত্র দিয়েছে নাসা। সেই অভিযানেই যাচ্ছেন শুভাংশুরা। ১৪দিন তাঁরা আইএসএসে থাকবেন, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন। নাসা এবং ইসরোর যৌথ উদ্যোগে দলটি এই কাজ করবে।
অভিযানে পাইলটের ভূমিকায় দেখা যাবে লখনউয়ের শুভাংশুকে। এএন-৩২, জাগুয়ার, হক, মিগ-২১, সু-৩০-সহ নানা ধরনের যুদ্ধবিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। এই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুভাংশুর উপর আস্থা প্রকাশ করেছেন ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন। গত বছর অগস্টে ইসরো ‘অ্যাক্সিয়োম মিশন ৪’ অভিযানের মহাকাশচারী হিসেবে শুভাংশুর নাম ঘোষণা করে।