E-Paper

আধিপত্যের কথায় ফের জয়শঙ্করের নিশানা চিন

ভারত এবং বাংলাদেশ, দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীই সম্মেলনে জোর দিয়েছেন সমুদ্রপথে সংযোগ বাড়ানোর দিকে। জয়শঙ্করের কথায়, “বিশেষ কিছু অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৩ ০৮:০৯
An image of S Jaishankar

ঢাকায় ষষ্ঠ ভারত মহাসাগরীয় আলোচনাসভায় চিনের নাম না-করে এ ভাবেই বিঁধলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ফাইল ছবি।

কোনও দেশের আধিপত্যের কারণে বিশ্বের সার্বিক অকল্যাণকে মেনে নেওয়া যায় না।

আজ ঢাকায় ষষ্ঠ ভারত মহাসাগরীয় আলোচনাসভায় চিনের নাম না-করে এ ভাবেই বিঁধলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর বক্তব্য, “ভারত মহাসাগর সংলগ্ন দেশগুলি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে তাদের সমুদ্র-বাণিজ্যের স্বার্থে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, কোনও রাষ্ট্রের আধিপত্যের কারণে আন্তর্জাতিক কল্যাণকে যেন বিসর্জন দিতে না হয়। এমন হওয়া রুখতে উপসাগরীয় অঞ্চলে নজরদারি, সমুদ্রপথে সমন্বয়, জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পারস্পরিক তথ্য বিনিময় করা প্রয়োজন। তবেই সমন্বয়ের কূটনৈতিক প্রয়াস সফল হবে।”

ভারত এবং বাংলাদেশ, দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীই আজকের সম্মেলনে জোর দিয়েছেন সমুদ্রপথে সংযোগ বাড়ানোর দিকে। জয়শঙ্করের কথায়, “বিশেষ কিছু অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে স্থলপথে সংযোগ এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে বহুমুখী সংযোগের প্রয়োজন রয়েছে ভারতের।”

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও আজ ভারত মহাসাগরে ‘শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা’ বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন তাঁর বক্তৃতায়। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি ভাবে তাদের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় মতাদর্শ সম্পর্কে একটি নথি প্রকাশ করেছে, যার মুখ্য বক্তব্য, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সংলগ্ন সমস্ত দেশের সঙ্গে একযোগে সাধারণ চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করা। মোমেনের কথায়, মুক্ত, অবাধ সমৃদ্ধি এবং নিরাপদ ভারত মহাসাগরের কৌশলগতগুরুত্ব রয়েছে।

গত কাল রাতে জয়শঙ্কর ঢাকায় পৌঁছন। তাঁর বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতে জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আসছেন হাসিনা। তার আগে জয়শঙ্করের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার স্তর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনীতি, খাদ্য ও জ্বালানির সঙ্কট নিয়েও আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত উন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশের মানুষের স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তাঁর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন শেখ হাসিনা। জয়শঙ্কর ষষ্ঠ ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। ভারত মহাসাগরীয় মঞ্চে যোগ দেওয়ার জন্য আজকের বক্তৃতাতেও বাংলাদেশকে স্বাগত জানান তিনি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

S jaishankar India China Conflict Foreign Minister

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy