মহম্মদ আফসান। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
বিদেশে চাকরি করতে যাবেন ভেবে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে। সেখানেই মৃত্যু হল এক ভারতীয় যুবকের। বুধবার মস্কোর ভারতীয় দূতাবাস এই খবর জানিয়েছে। যুবকের পরিবারের দাবি, প্রতারণার শিকার হয়েই রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন ওই যুবক।
বয়স ৩০। বাড়ি হায়দরাবাদে। ওই যুবকের নাম মহম্মদ আফসান। তাঁর পরিবার তাঁর সন্ধান চেয়ে এবং রাশিয়া থেকে তাঁকে ফেরানোর জন্য সাহায্য চেয়ে যোগাযোগ করেছিল হায়দরাবাদের সাংসদ এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসির সঙ্গে। ওয়াইসি মস্কোর ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তারা জানায়, আফসানের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে।
হায়দরাবাদে আফসানের স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, বিদেশে চাকরির কথা বলে আফসানকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রাশিয়ায়। সেখানেই তাঁকে রুশ বাহিনীর ‘হেল্পার’ বা সাহায্যকারী হিসাবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার ঠিক এক সপ্তাহ আগেই গুজরাতের এক তরুণেরও মৃত্যুর খবর এসেছিল রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে। অভিযোগ, ওই যুবককেও বাধ্য করা হয়েছিল ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে ‘হেল্পার’ হিসাবে কাজ করতে। গুজরাতের সুরতের ওই তরুণের বয়স ২৩। নাম হামিল মাঙ্গুকিয়া। হামিল অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে রাশিয়ায় একটি কাজের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের পরই তাঁকে প্রথমে সুরত থেকে চেন্নাই তার পর সেখান থেকে মস্কো নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এর পরেই তাঁকে রুশ বাহিনীর সাহায্যকারী হিসাবে নিয়োগ করা হয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে দান্তেস্ক এলাকায় ইউক্রেনের বিমানহানায় মৃত্যু হয় হামিলেরও।
এই ঘটনার পরেই বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত থেকে অনেক তরুণকেই বিদেশে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাশিয়ায়। সেখানে রুশবাহিনীতে কাজ করতে বাধ্যও করা হয়েছে তাঁদের। এমনকি, অনেককে সীমান্তে যুদ্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। এই ধরনের খবর প্রকাশ্যে আসার পর ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, তারা দ্রুত রুশ বাহিনীতে কর্মরত ভারতীয়দের মুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু তার মধ্যেই আরও এক ভারতীয়ের মৃত্যু হল রাশিয়ায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy