দেশে আবার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে তিন দিনের বেশি ১০২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের উপরে জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, অক্সিজেনের সূচক ৯৪ শতাংশের নীচে নামলেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার সুপারিশ করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর কর্নাটক শাখা।
গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর খবর আসতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক গত কালই জানিয়েছে, নতুন করে আসা করোনার এই ঢেউতে যাঁরা সংক্রমিত হচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশের শরীরে মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। আক্রান্তরা অধিকাংশ বাড়িতে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। ফলে এখনই সংক্রমণ নিয়ে বিশেষ দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এই আবহে আজ কর্নাটকের আইএমএ ওই রাজ্যের চিকিৎসক ও আমজনতাকে সতর্ক থাকার জন্য আবেদন জানায়। জনগণের উদ্দেশে বার্তায় বলা হয়েছে, কোনও রোগীর তিন দিনের বেশি ১০২ ডিগ্রির উপরে জ্বর থাকলে, বুকে ব্যথার উপসর্গ বা শ্বাসজনিত সমস্যা বিশেষ করে অক্সিজেন সূচক যদি ৯৪-এর নীচে নামলে দেরি না করে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে।
বর্তমানে ভারতে ওমিক্রনের চারটি উপশাখা এনবি.১.৮.১, এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন.১ দ্বারা লোকজন আক্রান্ত হচ্ছেন। যার মধ্যে জেএন.১ উপশাখা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবথেকে বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আক্রান্তদের ক্ষুদামন্দের সমস্যা, গলায় সংক্রমণ, নাক বন্ধ কিংবা সর্দি, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, পেটের সমস্যা দেখা দিকে পারে। হালকা জ্বর থাকতে পারে। লক্ষ্য করা যেতে পারে বমি-বমি ভাবও। এ ধরনের উপসর্গ রোগীদের মধ্যে ২-৩ দিনের বেশি দেখা দিলে প্রয়োজনে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। করোনা সংক্রমিতেরা যাতে যথেষ্ট বিশ্রাম ও প্রচুর পরিমাণে জল খেয়ে শরীর আর্দ্র রাখেন সে দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।
ভুল তথ্যের প্রভাব
নয়াদিল্লি, ২৭ মে: মেয়েদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যের উপরে কুপ্রভাব ফেলছে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত নানান ভুল তথ্য। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেশির ভাগ ভারতীয় মহিলারা সমাজমাধ্যম থেকে ঋতুস্রাবের বিষয়ে নানা তথ্য সংগ্রহ করছেন। মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ডে-তে ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা ধরনের সমীক্ষা এই দশম বার্ষিক সংস্করণে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ৭২.৪ শতাংশ উত্তরদাতা মহিলা ১৯ থেকে ৩৫ বছর বয়সি এবং ৭৬.৬ শতাংশ মহিলা স্নাতক বা উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)