করমর্দন আর তারপর সামান্য কিছু কথা বিনিময়। খিলখিলিয়ে হেসে উঠলেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। সেই হাসিতে যোগ দিলেন নরেন্দ্র মোদীও। আজ জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলন শুরু হওয়ার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মেলোনির এই মধুর বিনিময় ক্যামেরাবন্দি হয়ে রইল।
মোদী-মেলোনির রসায়ন, তাঁদের তোলা নিজস্বী এবং অন্যান্য ছবি দীর্ঘদিন ধরেই কূটনৈতিক শিবিরের চর্চায়। ২০২৩ সালের শেষে নরেন্দ্র মোদী দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনের সময়ে মেলোনির সঙ্গে তোলা তাঁর একটি নিজস্বীতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছিলেন, ‘‘বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা সব সময়েই আনন্দের।’’ মেলোনিও তাঁকে ‘প্রিয় বন্ধু’ হিসেবেই বর্ণনা করে এসেছেন বরাবর। ২০২৪ সালের লোকসভার ভোটের ফল প্রকাশের পরে ইউরোপীয় রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে মেলোনিই সর্বাগ্রে অভিনন্দন জানান মোদীকে।
সম্প্রতি মেলোনির স্মৃতিকথার ভূমিকা লিখেছেন মোদী। নিজের মাসিক রেডিয়ো অনুষ্ঠানকে মনে করিয়ে দিয়ে সেখানে লিখেছিলেন, এটাই ওঁর ‘মন কি বাত’। ভূমিকায় তিনি জানান, মেলোনির বইটির ভূমিকা লিখতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন। মেলোনির প্রতি তাঁর ‘শ্রদ্ধা, প্রশংসা এবং বন্ধুত্বের’ উপরে ভিত্তি করেই তা লিখেছেন। ‘আই অ্যাম জর্জিয়া- মাই রুটস, মাই প্রিন্সিপলস’। যার ভূমিকায় মোদীর বক্তব্য, ‘‘মেলোনির জীবন কোনও দিন রাজনীতি কিংবা ক্ষমতায় বসার জন্য নয়। তাঁর জীবন হল অনুপ্রেরণা, নিষ্ঠা, সাধারণ মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং ইটালির মানুষের সেবার জন্য নিবেদিত। গত ১১ বছর ধরে বিশ্বের বহু নেতানেত্রীর সঙ্গে আমি পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী মেলোনি তাঁদের মধ্যে এক জন যিনি নিজেকে দৃষ্টান্তরূপে উপস্থাপনা করেছেন। তাই এই বইটিও ভিন্ন স্বাদের হয়েছে।"
আবার মেলোনিও মোদীর জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট করে বলেছিলেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ৭৫তম জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। তাঁর শক্তি, সংকল্প এবং কোটি কোটি মানুষকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা। তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আশা করি তিনি ভারতকে আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)