—ফাইল চিত্র।
আপাতত লক্ষ্যমাত্রা আছে এক হাজার মেগাওয়াট। সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের সেই লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার মেগাওয়াটে নিয়ে যেতে চায় রেল। জ্বালানি খাতে খরচের বোঝা কমানোই এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে নিজেদের অব্যবহৃত জমিকে কাজে লাগানোর কথা ভাবছে রেল।
রেল সূত্রের খবর, নতুন লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারলে জ্বালানি খাতে বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হতে পারে। বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে সৌর বিদ্যুৎ থেকে ১০০০ মেগাওয়াট এবং বায়ুশক্তি থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা রেলের। সেই জন্য সারা দেশের প্রায় সব স্টেশন ভবন এবং প্ল্যাটফর্মের ছাদে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই প্যানেল বসানো হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে। তবে এই ব্যবস্থায় আপাতত শুধু স্টেশনের দৈনন্দিন চাহিদার খানিকটা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। নতুন ব্যবস্থায় ট্রেন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎও উৎপাদন করতে চায় রেল। সেই জন্য প্রায় ৫১ হাজার একর অব্যবহৃত জমিতে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বসাতে চাইছে তারা। ওই বিদ্যুৎ গ্রিডে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্যগুলির কাছে বিদ্যুৎ সংবহন লাইন ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হচ্ছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের খানিকটা ব্যবহার করে বাকিটা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কাছে বিক্রি করতে চায় রেল। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য রেলের এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। বাদ সেধেছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, কেরল, তামিলনাড়ু, ছত্তীসগঢ়। এই বিষয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রেল নিজের জমিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ করতে পারে। কিন্তু বণ্টন সংস্থাকে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে গেলে রেলকে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। সব দেখে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য। এখনও রেলের কোনও আবেদনপত্র পাইনি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy