Advertisement
০২ মে ২০২৪
Pakistan

মোদীর বিরুদ্ধে লিখলে ভিসা! পাক দূতাবাস কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থারও অভিযোগ মহিলার

মহিলার অভিযোগ, পাকিস্তান দূতাবাসের আধিকারিক তাঁকে পাকিস্তানে যাওয়ার ভিসা দেওয়ার পরিবর্তে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। ওই আধিকারিক তাঁকে যৌনগন্ধী ইঙ্গিত করেছেন বলেও তাঁর দাবি।

ভারত এবং কাশ্মীরের বিরুদ্ধে নিবন্ধ লিখতে বলা হয় বলেও দাবি অভিযোগকারিণীর।

ভারত এবং কাশ্মীরের বিরুদ্ধে নিবন্ধ লিখতে বলা হয় বলেও দাবি অভিযোগকারিণীর। ফাইল চিত্র ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:০৩
Share: Save:

যৌন হেনস্থা করেছেন পাকিস্তান দূতাবাসের এক কর্মী! পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধাচারণ করে নিবন্ধ লেখার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। অভিযোগ ভারতীয় এক মহিলার। মহিলার অভিযোগ, পাকিস্তান দূতাবাসের আধিকারিক তাঁকে পাকিস্তানে যাওয়ার ভিসা দেওয়ার পরিবর্তে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। ওই আধিকারিক তাঁকে যৌনগন্ধী ইঙ্গিত করেছেন বলেও তাঁর দাবি। মহিলার আরও দাবি, পাকিস্তানি ওই আধিকারিক তাঁকে ভারত, কাশ্মীর এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিবন্ধও লিখতে বলেছিলেন।

ওই মহিলা ‘টাইমস নাউ’-কে জানিয়েছেন, পাকিস্তান দূতাবাসের ওই আধিকারিক তাঁর হাত ধরে তিনি বিবাহিত কি না, তা জিজ্ঞাসা করেন। মহিলার আরও অভিযোগ, ওই আধিকারিক তাঁকে বলেছিলেন যে, পাকিস্তানিরা চাইলে চার বার বিয়ে করতে পারে।

মহিলার কথায়, ‘‘আমি গত বছরের জুনে দিল্লির পাকিস্তান দূতাবাসে গিয়েছিলাম। প্রথমে আমাকে একটি জায়গায় বসে অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিছু ক্ষণ পরে, আমাকে বলা হয়েছিল যে, ভিসা দেওয়া যাবে না। তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হওয়ায় পাকিস্তান সরকার সচল ছিল না। আমি অফিস থেকে বার হওয়ার সময় আসিফ নামে ওই ব্যক্তি আমার কাছে এসে বললেন, ‘আপনি আমার কাছে এলে আমি আপনাকে ভিসা দিয়ে দিতাম।’ এর পর উনি আমাকে আবার কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন।’’

অভিযোগ, এর পর দূতাবাসের ওই কর্মী তাঁকে ভিসা দেওয়ার নাম করে ডেকে কুপ্রস্তাব দেন। প্রশ্ন করা হয়, মহিলা নিজের ‘যৌন চাহিদা’ মেটাতে কী করেন?

মহিলা বলেন, ‘‘আসিফ আমাকে একই করিডোরের অন্য একটি ঘরে ডেকে পাঠান এবং বসতে বলেন। উনি বলেন যে এক জন ভিসা অফিসার দুপুর ২টো নাগাদ আসবেন। তার পর তিনি আমার সঙ্গে ভিসার কেন প্রয়োজন, সেই সম্পর্কে কথা বলতে শুরু করেন এবং আমি উত্তর দিতে থাকি। তারপর আসিফ জিজ্ঞাসা করেন যে আমি বিবাহিত কি না। আমি জানিয়েছিলাম যে আমি বিবাহিত নই। তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন ‘আপনি আপনার যৌন চাহিদা পূরণ করতে কী করেন’। এই কথা শুনে আমি অস্বস্তিতে পড়ে যাই।’’

তিনি যোগ করেন, ‘‘উনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, আমার সঙ্গে সঙ্গম করার মতো কেউ আছে কি না। ওঁর সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে যেতে চাই কি না, তা-ও জিজ্ঞাসা করেন। এর পর আমি উঠে তাঁকে ভিসা অফিসারকে ফোন করতে বলি। তখন উনি চুপ করে যান।’’

যাওয়ার আগে ভিসার পরিবর্তে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিবন্ধ লেখার প্রস্তাব দেওয়া হয় বলেও মহিলার দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE