যুদ্ধবিমান তেজসের সঙ্গে দু’টি ওয়ারিয়র ড্রোন। অ্যানিমেশন ছবি।
দেশীয় প্রযুক্তির সাহায্যে অত্যাধুনিক চালকহীন যুদ্ধবিমান (ড্রোন) তৈরি করছে ভারত। চলতি সপ্তাহের শেষে বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত বিমান প্রদর্শনী (এয়ার শো)-তে দেখা যেতে পারে ‘ওয়ারিয়র’ নামের যুদ্ধ ড্রোনের মডেলটি। ‘ওয়ারিয়র’ নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে বেঙ্গালুরুর সংস্থা ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিস লিমিটেড’ (হ্যাল)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির তৈরি ড্রোন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
হ্যাল-এর ‘কমব্যাট এয়ার টিমিং প্রোগ্রাম’ (সিএটিএস)-এর অংশ হিসেবে নির্মীত ‘ওয়ারিয়র’ ভবিষ্যতে সীমান্ত প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ভারতীয় স্থলসেনা এবং বায়ুসেনার কার্যকরী হাতিয়ার হয়ে উঠবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি। চিন এবং পাকিস্তানের হাতে থাকা ড্রোনের তুলনায় সামরিক উৎকর্ষে অনেক এগিয়ে রয়েছে ‘ওয়ারিয়র’।
সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়েও এই ড্রোন ব্যবহার করা যাবে বলে বলে হ্যাল সূত্রের খবর। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমান তেজসের সঙ্গে যৌথ ভাবে অভিযানেও অংশ নিতে পারবে ‘ওয়ারিয়র’। সে ক্ষেত্রে তেজসের চালক ‘ওয়ারিয়র’-কে পরিচালনা করবেন। একটি তেজস থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে একাধিক ওয়ারিয়রকে।
ওয়ারিয়রের অস্ত্রসম্ভারের মধ্যে রয়েছে ‘আকাশ থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্র আলফা-এস। এয়ার লঞ্চড ফ্লেক্সিবল অ্যাসেট-সোয়ার্ম প্রকল্পের অংশ হিসেবে তৈরি ২০০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র আধুনিক সেন্সর-যুক্ত হওয়ায় লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করতে সক্ষম। বালাকোটের জঙ্গি শিবিরে অভিযানের সময় ভারতীয় বায়ুসেনার মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান এই গোত্রের ‘আকাশ থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy