Advertisement
E-Paper

স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি বন্ধ রেখেছে ভারত, আলোচনায় বসতে চায় ইউনূস সরকার

ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে একাধিক বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে ‘সমস্যা’ মেটাতে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৫ ১৪:২৭
(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে একাধিক বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে ‘সমস্যা’ মেটাতে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন রবিবার বলেন, “ভারতের পদক্ষেপের বিষয়ে আমরা এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানি না। বিষয়টি জানার পর আমরা পদক্ষেপ করতে পারব।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তবে দু’পক্ষ আলোচনা করব এবং তা মেটানোর চেষ্টা করব।”

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রক শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে জানায়, এ দেশের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক ভারতে ঢুকবে না। কেবল মুম্বই এবং কলকাতা বন্দর দিয়ে জলপথে এই পণ্য ভারতে ঢুকতে পারবে। ফল, ফলের স্বাদযুক্ত কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার (কেক, চিপ্‌স বা স্ন্যাক্স), তুলো, সুতো, প্লাস্টিকের পণ্য এবং কাঠের আসবাবপত্র অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা বা মিজ়োরামের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ঢুকতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি দিয়েও এই পণ্য ঢুকতে দেওয়া হবে না। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ-এর (জিটিআরআই) পরিসংখ্যান বলছে, ভারতীয় মুদ্রায় এই সমস্ত পণ্যের বার্ষিক আমদানির মোট মূল্য সাড়ে ছ’হাজার কোটি টাকার বেশি।

মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল, চুনোপাথরের ক্ষেত্রে অবশ্য স্থলপথে বাণিজ্যে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি ভারত। তা ছাড়া, ভারতের মাধ্যমে নেপাল বা ভুটানে বাংলাদেশের যে পণ্য যায়, তার ক্ষেত্রেও কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারত সরকারের নির্দেশিকা মেনে এখন থেকে পোশাক, তেল, ফল বা সুতো এ দেশে রফতানি করতে হলে বাংলাদেশের একমাত্র ভরসা জলপথ। তা ব্যবহার করা হবে। কিন্তু এতে রফতানির পরিমাণ কমতে বাধ্য। ফলে বাংলাদেশ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে চলে আসেন। তার পর থেকে দেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার, যার প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। অভিযোগ, ইউনূসের আমলে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে বাংলাদেশে। এ নিয়ে ভারত সরকার একাধিক বার উদ্বেগও প্রকাশ করেছে। কিছু দিন আগে ইউনূস চিন সফরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি সম্পর্কে তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধিও নয়াদিল্লির নজর এড়ায়নি। এর মাঝেই সম্প্রতি ভারত থেকে স্থলপথে সুতো আমদানি বন্ধ করে দেয় ঢাকা। তার পরেই ভারতের এই সিদ্ধান্ত।

Muhammad Yunus Narendra Modi India-Bangladesh Border Bangladesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy