Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National news

বিজেপি বিরোধী জোট কি সম্ভব? সম্ভাব্য রোডম্যাপ

যদি বিরোধী দলগুলি মিলিত হয়, তবে সেই সঙ্ঘবদ্ধ শক্তির রণকৌশল কী হতে পারে?

উজ্জ্বল কুমার চৌধুরী
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৮ ১৪:৪৫
Share: Save:

আজকের জটিল রাজনৈতিক সমীকরণে কি অবিজেপি দলগুলির একত্রিত হওয়া সম্ভব? আর যদি বিরোধী দলগুলি মিলিত হয়, তবে সেই সঙ্ঘবদ্ধ শক্তির রণকৌশল কী হতে পারে?

আমরা দেখেছি কী ভাবে উত্তরপ্রদেশের কৈরানা এবং নূরপুরে একত্রিত বিরোধী শক্তির কাছে হারের সম্মুখীন হয়েছে বিজেপি। এই অপ্রত্যাশিত হারের ঠিক আগেই ফুলপুর এবং গোরক্ষপুরেও বিজেপি পর্যুদস্ত হয়েছে। বিজেপির কর্ণাটক-ব্যর্থতা সর্বজনবিদিত। তাই আজ বিরোধীপক্ষ নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। রাজ্য নির্বাচনের আগে, গুজরাতেও মোদীর দল অসমতল ভূখণ্ডে ছিল। দিল্লিতে আঞ্চলিক দলগুলির আপের ধর্নাকে সমর্থন দেওয়া এবং জম্মু-কাশ্মীরে সরকারের পতনে আজ বিজেপি’র নৌকা আরও টালমাটাল। ফলত আজ বিরোধীরা সত্যি সত্যি উজ্জীবিত।

বর্তমান এই মিলন শুধুমাত্রই মোদী-বিরোধিতার উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই ঐক্য দলভিত্তিক এবং নেতাকেন্দ্রিক। এখনও কোনও সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরী হয়নি। আমাদের এখানে মনে রাখা প্রয়োজন, ২০১৮-এর মোদী এবং ১৯৭৭-এর ইন্দিরার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। তাই মোদীকে হারানোর জন্য একই সূত্র ব্যবহার করা বোকামি হবে। মোদী অত্যন্ত বুদ্ধিমান নেতা। মেধা, চূড়ান্ত ধর্মীয় আবেদন এবং একটি তথ্যপ্রযুক্তি-দক্ষ সৈন্যদল তাঁর পিছনে – সর্বোপরি, মোদীর জনপ্রিয়তা এখনও যথেষ্ট পরিমাণে মজুত।

আরও পড়ুন: দিল্লি পৌঁছে গেল বাংলার সঙ্ঘাত, রাজঘাটে বিজেপির ধর্না

মোদী এবং তাঁর দলকে হারাতে গেলে একটি বিকল্প শাসনপদ্ধতির প্রয়োজন। কিছু নেতা এবং দলের ঐক্য বিজেপিকে হারানোর জন্য যথেষ্ট নয়।

রাজনৈতিক পন্থা ১: একের বিরুদ্ধে একের লড়াই

মোদী-শাহ জুটিকে হারাতে গেলে প্রত্যেকটি লোকসভা কেন্দ্রে একজন জোটপ্রার্থীকেই দাঁড় করাতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি প্রত্যেকটি সমষ্টিতে গত লোকসভা নির্বাচনের বিজয়ী দলের প্রার্থীকে দাঁড় করানো হয়। যে যে সমষ্টিতে এনডিএ প্রার্থী জয়লাভ করেছিল, সেখানে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দলের প্রার্থীকে দাঁড় করাতে হবে। এতে কংগ্রেস নিজের ৪৫টি বিজয়ী আসন ছাড়াও আরও ১৫০টি আসনে নিজের প্রার্থী দিতে পারবে, যেখানে কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিল। কিন্তু এই সমীকরণ অনুযায়ী, বাকি ২৫০টি আসনে আঞ্চলিক দলগুলোর প্রার্থীদের দাঁড় করাতে হবে কারণ সেই আসনগুলোতে এই দলগুলো হয় জয়লাভ করেছিল নয়তো দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিল। গত চার বছরে কার দলীয় সমর্থন বেড়েছে এবং কার কমেছে, এই তর্কে উপনীত হলে কোনও স্পষ্ট অবস্থানে পৌঁছনো সম্ভব নয়। কিন্তু এই সময়কালে যদি বিধানসভা সমষ্টিগুলো হাতবদল করে থাকে তাহলে নতুন করে আলোচনা করা যেতেই পারে। সামগ্রিক ভাবে কংগ্রেসের জন্য ২০০টি আসন এবং অন্যান্য দলগুলোর জন্য ৩৫০টি আসন একটি সর্বসম্মত অবস্থান হতে পারে। এখন এই প্রতিযোগিতার গুণ বিচার করা উচিত, পরিমাণ নয়। নোটবন্দি এবং নির্বাচনী বন্ডের অনুপস্থিতি বিরোধী দলগুলোর ওপরে চূড়ান্ত অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেছে। তাই উত্তরপ্রদেশে এসপি এবং বিএসপির গাঁটছড়াকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, আরজেডি’কে বিহারে নেতৃত্ব দিতে হবে, টিএমসিকে পশ্চিমবঙ্গে পথপ্রদর্শন করতে হবে, আপকে দিল্লিতে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং ডিএমকে প্রার্থীদের তামিলনাড়ুতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই কয়েকটি রাজ্য কংগ্রেসের উচিত দুটো বা তিনটের বেশি আসনে প্রার্থী না দেওয়া। কিন্তু গুজরাত, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় এবং মধ্যেপ্রদেশের প্রায় সবগুলো আসনেই কংগ্রেস প্রার্থী বাঞ্ছনীয়।

আরও পড়ুন: কর্নাটকে ছয় মন্ত্রী নিয়ে জট কংগ্রেসে

রাজনৈতিক পন্থা ২: নেতৃত্বের বিষয়ে সর্বসম্মত সমাধান

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা শারদ পওয়ারের উচিত রাহুল গাঁধীর প্রতি এলার্জিমুক্ত হওয়া। তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার অভাব একমাত্র বিচার্য্য বিষয় হতে পারে না। তেমনই কংগ্রেসের অনুধাবন করা উচিত, যে রাহুল গাঁধী আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রিত্বের জন্য মনোনীত করা হবে চরম ভুল পদ্ধতি। যদি ঐক্যবদ্ধ বিরোধীপক্ষ ২৭৪এর প্রামাণিক অঙ্কটি পার করতে পারে, তাহলে সবচাইতে গ্রহণযোগ্য নেতাকেই প্রধানমন্ত্রিত্বের জন্য নির্বাচন করা উচিত। এই পদ্ধতি সংবিধানসম্মতও বটে এবং এতে বিজেপির সবচাইতে কার্যকর পন্থাকেও ব্যর্থ করে দেওয়া যায়। গত চার বছরে বিজেপি ভারতবর্ষের প্রতিটি নির্বাচনকে মোদীভিত্তিক করতে সমর্থ হয়েছে। শুধু দিল্লি এবং বিহারেই এই পদ্ধতি কৃতকার্য হয়নি।

রাজনৈতিক পন্থা ৩: সংবিধান রক্ষা করা

আজকে যা সবচাইতে বেশি প্রয়োজন, তা হচ্ছে সাংবিধানিক নিয়মাবলীর রক্ষা। বিরোধী দলগুলির উচিত সর্বসমক্ষে সংবিধানের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করা। সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষতা, যা মৌলিকভাবে তোষণবিরোধী, বিরোধী দলগুলোর মূল মন্ত্র হওয়া উচিত। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি, যা সমাজের নিম্নশ্রেণীর অধিকার সংরক্ষণ করে, বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনী ইস্তাহারের অংশ হওয়া বাঞ্ছনীয়। গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক মূল্যের প্রতি অঙ্গীকার অবিজেপি দলগুলির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। গণমাধ্যম, সংস্কৃতি এবং শিক্ষাকে রাজনৈতিক আওতার বাইরে রাখতে হবে। বিরোধী দলগুলোর উচিত সংসদের মান রক্ষা করা এবং বিচারব্যবস্থার স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা। পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠন, প্রশাসনিক সংশোধন, বিচারবিভাগীয় সংস্কার, নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার, রাজ্যপালের ভূমিকা পর্যালোচনা, লোকপালের বাস্তবায়ন এবং সংবিধানিক পদগুলির স্বাতন্ত্র বজায় রাখা আজ একান্তই জরুরি হয়ে উঠেছে। এই প্রত্যেকটি বিষয়ে বিরোধী দলগুলোর ইতিবাচক ভূমিকা প্রয়োজন যদি আগামী নির্বাচনে মোদী-শাহ বাহিনীকে হারাতে হয়।

রাজনৈতিক পন্থা ৪: বিরোধী দলগুলোকে তোষণবিরোধী অবস্থান নিতে হবে

প্রতিটি সম্প্রদায়কে বোঝাতে হবে, তারা ভারতবর্ষের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু তোষণের কোনও প্রয়োজন নেই। সাচার কমিটি রিপোর্ট প্রমাণ করে, মুসলমান সম্প্রদায় নানান সূচকে পিছিয়ে রয়েছে। আর্থসামাজিক, শিক্ষা-ভিত্তিক এবং রাজনৈতিক মাপকাঠিতে মুসলমানেরা এখনও অনগ্রসর। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে মুসলমানেরা আরও পিছিয়ে পড়েছে। যদি উপজাতিদের অরণ্যের অধিকার না দেওয়া হয় এবং কৃষকদের ভূমিস্বত্ব কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে গ্রামগঞ্জের কোনওদিন কোনো উন্নয়ন হবে না এবং নকশাল আন্দোলনও চলতে থাকবে। সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে মহিলাদের উন্নয়ন। মহিলাদের জন্য সুরক্ষা আরও জোরদার করতে হবে এবং তাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে আরও ক্ষমতাশালী করে তুলতে হবে।

শাসন পন্থা ১: বিকল্প অর্থনৈতিক পরিকল্পনার সৃষ্টি

বিরোধীপক্ষকে কিছু শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রকল্পের ঘোষণা করতে হবে। কৃষকদের জন্য সর্বনিম্ন সমর্থন মূল্য, এম এস স্বামীনাথন কমিটি রিপোর্টের প্রত্যেকটি সুপারিশ বাস্তবায়িত করা, কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করা, ব্যাঙ্কগুলোর অনাদায়ী ঋণ পুনরুদ্ধার করা, ব্যাঙ্কগুলোকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে আলাদা করা, আরবিআই কে স্বতন্ত্র রাখা এবং শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যে প্রচুর বিনোয়োগ করা – এই পদক্ষেপগুলো বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত জরুরি। কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলোর মধ্যে রাজস্বের সঠিক বন্টন প্রয়োজনীয় এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো অনুসরণ করে বাঞ্ছনীয়। অর্থ কমিশনের সুপারিশগুলো এই বিষয়ে পথ দেখাতে পারে। অভিন্ন জিএসটি শাসন আনা প্রয়োজন যাতে সত্যি সত্যি এক দেশ এক ট্যাক্স হতে পারে। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে যাতে তা বাজেটের ২৫ শতাংশ হতে পারে। আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে বিনিয়োগের প্রয়োজন, স্বাস্থ্য বিমাতে নয়।

শাসন পন্থা ২: প্রচারের স্থানীয়করণ এবং প্রতিটি কেন্দ্রের পৃথক উন্নয়ন পরিকল্পনা

প্রত্যেকটি লোকসভা আসন ভিন্ন এবং তাই প্রত্যেকটি আসনের জন্য ভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রয়োজন। সামাজিক মাধ্যমের সাহায্যে এই পরিকল্পনাগুলিকে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। এভাবে বিজেপির মূল্যহীন কিন্তু জোরদার দাবিগুলিকে খণ্ডন করা যাবে। বুলেট ট্রেনের আমাদের এখনই প্রয়োজন নেই, পাকিস্তানকে খলনায়ক বানিয়ে ভারতবৰ্ষতে উন্নয়ন আনা যাবে না – এই বিষয়গুলোকে মানুষকে বোঝাতে হবে। প্রত্যেকটি আসনের জন্য মিলিত বিরোধীপক্ষকে পাঁচটি মৌলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বানাতে হবে। এর সঙ্গে থাকতে হবে একটা বিস্তারিত রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা। এতে মোদীভিত্তিক প্রচারকে অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা যাবে।

গণজ্ঞাপন পন্থা ১: ধারণার যুদ্ধে জয়ী হওয়া

ধারণার যুদ্ধে মোদী এখনও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। “৫৬-ইঞ্চি বুকের সৎ মোদীর বিরুধ্যে অসৎ বিরোধী নেতারা”। “একদিকে মোদী নেতৃত্বাধীন হিন্দু ভারত আরেকদিকে অসাম্প্রদায়িক এবং জাতপাতবাদী বিরোধীপক্ষ”। বিক্রি হয়ে যাওয়া গণমাধ্যম এই চিত্রই তুলে ধরছে জনগণের সামনে। তাই কয়েকটি বিকল্প আখ্যানের খুব দ্রুত প্রয়োজন। যেমন “একদিকে একজন অহংকারী নেতা এবং অন্যদিকে তৃণমূল-ভিত্তিক নেতাবর্গ”, “শুধুমাত্র বিরোধীপক্ষকে দুর্নীতির জন্য দায়ী করা”, “একটি ধর্মকে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে অগ্রাধিকার দেওয়া”, “গণতন্ত্র কে ফলত ধনতন্ত্র এবং অভিজাততন্ত্র বানানো”। এখন সবচাইতে জরুরি হচ্ছে ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা, যাতে দক্ষিণপন্থীরা মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি না করতে পারে।

গণজ্ঞাপন পন্থা ২: মানুষকে মোদী সরকারের অর্থনৈতিক ব্যর্থতা সম্বন্ধে অবহিত করা

অর্থনীতিতে জোর দিতে হবে বিরোধীপক্ষকে। নোটবন্দি,পক্ষপাতমূলক জিএসটি, ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) হ্রাস, বেকারত্ব, কৃষি বিপর্যয়, আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় মুদ্রার পতনশীল মূল্য, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি মূল্য, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি, ঊর্ধ্বমুখী বাণিজ্য ঘাটতি – এই বিষয়গুলির ওপরে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। মহিলাদের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থায় এবং সংখ্যালঘুদের ওপরে জুলুম সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। গবেষণালব্ধ তথ্যের ওপরে ভিত্তি করে চতুর গণমাধ্যম পরিকল্পনা বানাতে হবে। তবেই না বিরোধীপক্ষ পারবে মোদী-শাহ শাসনকে শেষ করতে।

সমন্বিত বিরোধী মঞ্চ সৃষ্টি শুধুমাত্র একত্রিত একটি বিরোধীমঞ্চই, যার নাম হতে পারে People’s Federal Alliance (PFA), পারে বিজেপিকে পরাস্ত করতে। একটি সাধারণ ন্যূনতম কার্যক্রম দরকার সেই স্বপ্নকে সাকার করতে। এখনই কিছু বলার সময় আসে নি। তবে ভরতবর্ষকে সত্যি সত্যি গণতন্ত্রে পরিবর্তিত করতে হলে আমাদের একটি বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির আশু প্রয়োজন।

(লেখক দিল্লির পার্ল একাডেমির স্কুল অফ মিডিয়ার প্রধান। অভিমত লেখকের নিজস্ব।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Alliance বিজেপি
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE