বিধানসভা ভোটে হেরে গেলেও বিধান পরিষদে জিতিয়ে এনে মন্ত্রী করা হতে পারে লিঙ্গায়েত নেতা জগদীশ শেট্টারকে। ফাইল চিত্র।
দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক বলে পরিচিত কর্নাটকের লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় এ বার কংগ্রেসকে ঢেলে ভোট দিয়েছে। তাই বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে আসা লিঙ্গায়েত নেতা জগদীশ শেট্টারকে কর্নাটক সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দেখা যেতে পারে। বিধানসভা ভোটে হেরে গেলেও তাঁকে বিধান পরিষদে জিতিয়ে এনে মন্ত্রী করা হতে পারে।
শনিবার কর্নাটকের নতুন সরকার শপথ নেবে। অনুষ্ঠানে দেড় লক্ষ মানুষ হাজির হবেন। লিঙ্গায়েত, ভোক্কালিগা, দলিত, ওবিসি, আদিবাসী, সংখ্যালঘু— সকলের প্রতিনিধিত্ব রেখে মন্ত্রিসভা গঠন করতে আজ ভাবী মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার ফের দিল্লিতে এসে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দিনভর বৈঠক করেছেন। মোট ২৮ জন মন্ত্রী শপথ নিতে পারেন। ২০১৩ থেকে ২০১৮— এই পাঁচ বছরের সরকারে যে মন্ত্রীরা ভাল কাজ করতে পারেননি, তাঁদের বাদ দিয়ে তরুণ মুখ আনা হবে। মন্ত্রী বাছাইয়ের ফাঁকে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গেও দেখা করেছেন দু’জনে। সিদ্দারামাইয়া দিল্লির বিখ্যাত দক্ষিণী খাবারের রেস্তরাঁতেও ঢুঁ মেরেছেন।
রাহুল আজ জানান, শপথগ্রহণের পরেই কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার পাঁচটি প্রতিশ্রুতি পূরণের সিদ্ধান্ত নেবে। সূত্রের খবর, শনিবার প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই ২০০ ইউনিট বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, মহিলাদের ২০০০ টাকা, দরিদ্র পরিবারের জন্য ১০ কেজি খাদ্যশস্য, বেকারদের জন্য মাসিক ভাতা ও কর্নাটকের বাসে মহিলাদের নিখরচায় যাত্রার পাঁচটি গ্যারান্টির সিদ্ধান্ত হবে। বছরে এর জন্য প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। সনিয়া-রাহুল-প্রিয়ঙ্কা— তিন জনেই শপথগ্রহণে থাকবেন। রবিবার রাহুল আমেরিকায় রওনা হচ্ছেন। প্রবাসী ভারতীয়দের সভা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুলের স্লোগান মাথায় রেখে ওভারসিজ় কংগ্রেস ক্যালিফোর্নিয়ায় রাহুলের সভারও নাম রেখেছে ‘মহব্বত কি দুকান’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy