বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রথম প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করল নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ। বুধবার মোট ৫৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তারা। প্রথম প্রার্থিতালিকায় বিহারে পাঁচ মন্ত্রী-সহ ২৩ জন বিদায়ী বিধায়ককে টিকিট দেওয়া হয়েছে। টিকিট পেয়েছেন আরজেডি ছেড়ে জেডিইউতে আসা নেতাও।
বিহারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শ্রবণ কুমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নালন্দা থেকে। জলসম্পদ মন্ত্রী বিজয়কুমার চৌধরি লড়বেন সরাইরঞ্জন থেকে। তথ্য ও জনসংযোগ মন্ত্রী মহেশ্বর হাজারি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কল্যাণপুর থেকে। পাশাপাশি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মদন সাহনি এবং অপর এক মন্ত্রী রত্নেশ সাদাও টিকিট পেয়েছেন। তাঁরা লড়বেন যথাক্রমে বাহাদুরপুর এবং সোনবর্ষা থেকে। গত বছর তেজস্বী যাদবদের আরজেডি ছেড়ে নীতীশের দলে যোগ দিয়েছিলেন শ্যাম রজক। তাঁকেও টিকিট দিয়েছে জেডিইউ। প্রথম প্রার্থিতালিকায় ৫৭ জনের মধ্যে মহিলা প্রার্থী রয়েছেন মাত্র চার জন।
দফায় দফায় আলোচনার পরে গত সপ্তাহেই বিহারের শাসক জোট ‘এনডিএ’-র আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়। আসন বোঝাপড়া অনুসারে, বিজেপি এবং জেডিইউ— উভয় দলই ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। চিরাগের লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) ২৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা। সংবাদমাধ্যমের একাংশে দাবি করা হচ্ছে, জেডিইউ ঘোষিত প্রার্থিতালিকার মধ্যে এমন কিছু আসনও রয়েছে, যেখানে নজর ছিল জোটসঙ্গী চিরাগ পাসওয়ানদেরও।
আরও পড়ুন:
ওই রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনার সময়ে জেডিইউয়ের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত কিছু আসনে নিজেদের প্রার্থী দিতে চেয়েছিল চিরাগের দল। কিন্তু ওই আসনগুলি হাতছাড়া করতে চাননি নীতীশ। এর মধ্যে রয়েছে রাজগির, সোনবর্ষা, মোরওয়া এবং মাটিহানি। এ ছাড়া একমা এবং গাইঘাট বিধানসভা কেন্দ্রেও চিরাগরা প্রার্থী দিতে চেয়েছিলেন ওই প্রতিবেদনগুলিতে দাবি করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে চিরাগ শিবির থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।