মোদী, নীতীশ এবং লালন। ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে উঠল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডি(ইউ)-র সর্বভারতীয় সভাপতি লালন সিংহের বিরুদ্ধে। শুক্রবার পটনায় জেডি(ইউ) দফতরে লালনের ওই মন্তব্যের পর রাজনীতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
ওই দলীয় কর্মীসভায় মুঙ্গেরের সাংসদ লালন বলেন, ‘‘মোদী এক জন বহুরূপী। তিনি ১২টি রূপ দেখান। নিজেকে ‘পিছিয়ে পড়া সমাজের’ মানুষের হিসাবে তুলে ধরতে চান। কিন্তু আসলে তিনি তা নন। প্রকৃত অনগ্রসরদের সামনে এলেই তাঁর স্বরূপ উন্মোচিত হয়ে যায়।’’ বিজেপির অভিযোগ, দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লালনের এমন মন্তব্য ‘আপত্তিকর’।
লালন বিহারের উচ্চবর্ণ হিসাবে পরিচিত ভূমিহার সম্প্রদায়ের নেতা। ঘাঞ্চি তেলি জাতের মোদী, গুজরাতের সরকারি খাতায় ওবিসি গোষ্ঠীভুক্ত। গুজরাতে বিধানসভা ভোটের আগে লালনের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সরব বিজেপি। লালন পটনায় আরও বলেন, ‘‘মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর জাতকে অনগ্রসর (ওবিসি) শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁরা আসলে ওবিসি নন।’’
সেই সঙ্গে লালন অভিযোগ তোলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী কোথাও, কোনও দিন চা বিক্রি করেননি, শুধু ভান করেন। ভোটে জেতার জন্য উনি সব করতে পারেন।’’ জেডি(ইউ) সভাপতির ওই বক্তব্যের পরেই তাঁকে ‘অনগ্রসর বিরোধী’ বলে চিহ্নিত করেছেন বিহারের বিজেপি নেতারা। ঘটনাচক্রে, শুক্রবারই লালনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গাব্বু সিংহের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে আয়কর বিভাগ।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটেও একই ভাবে মোদীর বিরুদ্ধে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছিল বিজেপি। অমেঠীতে গিয়ে মোদী সে সময় নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে আক্রমণ করেছিলেন। জবাবে প্রিয়ঙ্কা বলেছিলেন, রাজনীতির নিচু মানের কথা। সেই আক্রমণের ‘মুখ’ ঘুরিয়ে দিয়ে মোদী পাল্টা অভিযোগ তোলেন, রাজীব-কন্যা ‘নিচু জাতের মানুষের রাজনৈতিক উত্থানের’ বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy