Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাকা লুঠ করে দেশছাড়া আরও এক হিরে ব্যবসায়ী!

নীরব মোদী-মেহুল চোক্সীর মতো তাঁর শিকড়ও গুজরাতের পালনপুরে। তাঁদেরও হিরে, গয়নার ব্যবসা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৮ ০৩:০০
Share: Save:

দেশের টাকা লুঠ করে মামা-ভাগ্নে যেমন বিদেশে ফেরার, তেমনই সামনে এল আর একটি লুঠের ঘটনা। কাকতালীয় হলেও নতুন অভিযুক্তের সঙ্গেও পারিবারিক যোগ রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি আদানিদের।

যতীন মেটা।

নীরব মোদী-মেহুল চোক্সীর মতো তাঁর শিকড়ও গুজরাতের পালনপুরে। তাঁদেরও হিরে, গয়নার ব্যবসা। আজ দিল্লিতে কংগ্রেস অভিযোগ করল, মামা-ভাগ্নের মতো মেটাও ৬,৭১২ কোটি টাকা লুঠ করে পালিয়েছেন। ২০১৪ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সিবিআই, অর্থ মন্ত্রক, বাণিজ্য মন্ত্রক, মুম্বই পুলিশের কাছে। তবু চুপ করে বসে থাকে মোদী সরকার। ২০১৬ সালে সস্ত্রীক মেটাকে ভারতের নাগরিকত্ব ছাড়ার অনুমতি দেওয়ার পরে ২০১৭-তে সিবিআই প্রথম অভিযোগ দায়ের করে।

কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বলতেন, না খাবেন, না খেতে দেবেন। এখন স্লোগান বদলে হয়েছে, তিনি খাবেন, খেতেও দেবেন। সঙ্গে প্যাক করে নিয়েও যেতে দেবেন। প্রধানমন্ত্রী জবাব দিন, এই সব শিল্পপতিদের কে বাঁচাচ্ছেন?’’ সরকারি নথি দেখিয়ে তাঁর দাবি, ২০১৬-এ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মেটাকে ভারতের নাগরিকত্ব ছাড়ার অনুমতি দেয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামে এক দেশের নাগরিকত্ব নেন মেটা, যার সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। দেশটি কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্য বলে পরিচিত।

মেটার সংস্থাগুলির নাম উইনসাম ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলারি লিমিটেড, ফরএভার প্রেসিয়াস জুয়েলারি অ্যান্ড ডায়মন্ডস, সুরাজ ডায়মন্ডস (পরে উইনসাম ডায়মন্ডস)। বাণিজ্য মন্ত্রকের নথিই বলছে, এই সংস্থার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির অভিযোগ রয়েছে। তবু যত ক্ষণ না তিনি বিদেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন, সরকার চুপ করে বসেছিল। এখনও তাঁর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়নি। জানানো হয়নি ইন্টারপোলকেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jatin Mehta Excaped Money Fraud Jeweller
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE