দুমকার তরুণীর মৃত্যুর দিনে হেমন্তের এই সিটি বাজানোর ছবি ঘিরেই বিতর্ক। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
সরকারের সঙ্কট নেই বোঝাতে শাসকজোটের বিধায়কদের নিয়ে শনিবার খুঁটি লতরাতু জলাধারে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন তিনি। বিরোধী দল বিজেপিকে কটাক্ষ করে সিটিও বাজিয়েছিলেন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুমকার এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় ফের নতুন সঙ্কটে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
সরকারি গাফিলতির কারণেই ওই অগ্নিদগ্ধ তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। পরিস্থিতি সামলাতে সাংবাদিক বৈঠক করে দুঃখপ্রকাশ করতে হয়েছে হেমন্ত মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বন্না গুপ্তকে। মুখ্যমন্ত্রী নিহতের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে ঝাড়খণ্ডে।
ये दोनों तस्वीरें एक ही दिन की है। एक में राजा है और एक में प्रजा।
— Babulal Marandi (@yourBabulal) August 28, 2022
हो सकता है पिकनिक की व्यस्तता के चलते सत्ता के पास तुम्हारी सुधि लेने का समय नहीं था।
हो सके तो हमें माफ़ करना बेटी, इंसाफ़ ज़रूर मिलेगा। https://t.co/QOaBozzFX6
‘লাভজনক পদ’ অভিযোগে বিদ্ধ ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) প্রধান হেমন্তের মুখ্যমন্ত্রিত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাঁচীর রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। সূত্রের খবর, নির্বাচনী নীতি লঙ্ঘনের জেরে হেমন্তের বিধায়কপদ খারিজ করার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যেই কমিশন চিঠি পাঠিয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের কাছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের সঙ্কট নেই বোঝাতেই শনিবার কংগ্রেস-সহ সহযোগী বিধায়কদের নিয়ে খুঁটীর জলাধারে গিয়েছিলেন তিনি। আর তার পরেই সৃষ্টি হয়েছে নয়া বিতর্কের।
ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা বাবুলাল মরান্ডী-সহ বিজেপি নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই দুমকা-কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন। পর পর দু’টি ছবি টুইট করে বাবুলালের দাবি, দু’টি ঘটনা একই সময়ের। প্রথম ছবিটি লতরাতু জলাধারে ঝাড়খণ্ডের শাসকজোটের বিধায়কদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের নৌকাবিহারের। দ্বিতীয়টি, রাঁচীর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল কলেজে মরণাপন্ন এক তরুণীর। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ‘অপরাধে’ যাঁর গায়ে পেট্রোল ঢেলে দুমকার এক যুবক আগুন জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
টুইটারে মরান্ডী লিখেছেন, ‘এই দুটি ছবি একই দিনের। একটিতে রাজা এবং অন্যটিতে প্রজা। হয়তো পিকনিকের ব্যস্ততার কারণে সরকার তোমার যত্ন নেওয়ার সময় পায়নি। সম্ভব হলে আমাদের মাফ করে দিও মেয়ে। ন্যায়বিচার অবশ্যই হবে।’
বাবুলালের দাবি, শনিবার বিকেলে রাঁচীর হাসপাতালে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ওই তরুণী তখন প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। আর প্রমোদভ্রমণে ব্যস্ত ছিলেন হেমন্ত এবং তাঁর সঙ্গী বিধায়কেরা। সম্প্রতি, নূপূর শর্মার মন্তব্যের পর রাঁচীতে বিক্ষোভের সময় পুলিশের গুলিতে আহত বিক্ষোভকারীদের এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে দিল্লি পাঠানো হয়েছিল দাবি করে বিজেপির অভিযোগ, শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া ওই তরুণী প্রথমে দুমকা মেডিক্যাল কলেজে এবং পরে রাঁচীতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাননি।
দুমকার ওই তরুণীকে অভিযুক্ত যুবক আগেও হুমকি দিয়েছিলেন বলে সোমবার দাবি করেছেন বিরোধী নেতা বাবুবাল। তিনি বলেন, ‘‘ওই তরুণী ও তাঁর পরিবার অভিযোগ জানাতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু দুমকার ডিএসপি নূর মুস্তাফা এফআইআর দায়ের না করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।’’ ইতিমধ্যেই বিজেপি-ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন সংগঠনের তরফে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে দুমকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। আগামী দিনে দুমকা-কাণ্ড হেমন্ত সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy