প্রতীকী ছবি।
ধর্ষককে তাঁর কৃতকর্মের সাজা দিয়েছেন, দাবি করলেন খুনের দায়ে অভিযুক্ত এক মহিলা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এক যুবকের গলার নলি কেটে, পুরুষাঙ্গ কেটে খুন করার। পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। যদিও তাঁর দাবি, এমন কাজ তিনি করেছেন ‘ধর্ষক’কে উপযুক্ত শাস্তি দিতেই। এমনকি এ কাজে তাঁর স্বামী তাঁকে সাহায্য করেছেন বলেও জানান অভিযুক্ত। গোটা ঘটনাটি নিয়ে অবশ্য ধন্দে ছত্তীসগঢ় পুলিশ। খুনি ধরা পড়লেও খুনের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে তারা।
নিহত যুবকের নাম হাবিবুল্লা। তিন দিন আগে গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় যুবকের। তাঁর পরিবারের দাবি, খুনিরা মিথ্যা অভিযোগ এনেছে হাবিবুল্লার বিরুদ্ধে। তদন্তকারী পুলিশেরও প্রশ্ন, ধর্ষণের ঘটনা যদি ঘটেই থাকে তবে সে কথা আগে পুলিশকে কেন জানাননি ওই মহিলা।
জেরায় পুলিশকে আরও দু’জন ‘ধর্ষক’-এর নাম জানিয়েছেন ওই মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হলেও অপরাধের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং তদন্তকারীদের অনুমান স্বামীকে বাঁচাতেই এই দুই ব্যক্তির নাম জানিয়েছেন ওই মহিলা।
ঘটনার তিন দিনের মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে আসল ঘটনাটি কী, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। পুলিশকে হাবিবুল্লার পরিবার জানিয়েছে, ঘটনার আগের রাতে স্ত্রীকে তাঁর বাপের বাড়িতে পৌঁছতে গিয়েছিলেন হাবিবুল্লা। তার পর বাড়ি ফিরে গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। তার পর আর ফেরেননি তিনি। বৃদ্ধ বাবা-মা এবং স্ত্রী ছাড়া এক বছরের একটি মেয়েও রয়েছে হাবিবুল্লার। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, তিনিই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন। গুজরাতের একটি হোটেলে চাকরিরত হাবিবুল্লা লকডাউনের পরই বাড়ি ফিরেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy