তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। —ফাইল চিত্র।
জামিনের আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ সাহা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গত ছ’মাস ধরে জেলে রয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। এ বার তাঁকে জামিন দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ এস বোপান্নার নেতৃত্বধীন বেঞ্চে। বেঞ্চ আবেদন গ্রহণ করে সিবিআইকে নোটিস দিয়েছে। সেই নোটিসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানি তার পরে হবে।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গত ১৪ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণ সাহার আন্দির বাড়িতে টানা তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। একই সঙ্গে জীবনকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেই জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির ফাঁকে তাঁর ব্যবহার করা দু’টি মোবাইল ফোন বাড়ির পিছনে একটি পুকুরের জলে ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ। সেই মোবাইল উদ্ধার করতে পুকুরের জল ছেঁচে ফেলতে হয় সিবিআইকে। টানা জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির পরে ১৭ এপিল মাঝরাতে কলকাতা থেকে সিবিআইয়ের আরও একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আন্দির বাড়িতে এসে জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে। তার পর থেকেই বিচারাধীন বন্দি অবস্থায় রয়েছেন জীবনকৃষ্ণ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়ক জেলে বন্দি থাকার ফলে সরকারি ভাবে তাঁর এলাকায় দুঃস্থ বাসিন্দাদের জন্য যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়, সেটাও বন্ধ। ইদের আগে থেকে বিধায়ক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে জেলে থাকার কারণে বেগ পেতে
হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। এলাকার তৃণমূল নেতাদের কেউ কেউ বলেন, জামিনের আবেদন জানানো হয়েছে। দেখা যাক, সর্বোচ্চ আদালত কী রায় দেয়।
যদিও দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, “বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে আইনি বিষয়। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই দলের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করাও ঠিক নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy