ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ। —ফাইল চিত্র।
ছাত্র নিখোঁজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তাল জেএনইউ ক্যাম্পাস। ঘটনার দায় দাপিয়ে এবিভিপি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র ইউনিয়ন। ক্যাম্পাস চত্বরে প্রতিবাদীদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন নিখোঁজ ছাত্রের মা-বাবাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাহি মান্ডভি হস্টেলে নির্বাচনের আগেই গত শুক্রবার নিখোঁজ হন বায়োটেকনলিজ-র প্রথম বর্ষের পড়ুয়া নাজিব আহমেদ। ঘটনার আগে এবিভিপি-র কয়েক জন ছাত্রের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছিল তাঁর। অভিযোগ, এর পর থেকেই আর খোঁজ মিলছে না নাজিবের।
বাম ছাত্রদের অভিযোগ, হস্টেলে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াচ্ছেন এবিভিপি-র পড়ুয়ারা। হস্টেলের দেওয়ালগুলি ঢাকা পড়েছে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক দেওয়াল লিখনে। তাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের জন্য বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যও লেখা থাকছে। তবে ছাত্র নিখোঁজের ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে এবিভিপি। ঘটনার পর নাজিবের মা ফাতিম নাফিসের অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
সোমবার হস্টেলের প্রেসিডেন্ট-সহ ১২ সদস্যের কমিটি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে শুক্রবারের ঘটনার পর তা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালেয়ের ছাত্র সংগঠনের প্রেসিডেন্ট বামদের মোহিত পাণ্ডে এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, “ক্যাম্পাসে মেরুকরণের একটা প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। নাজিবের ঘটনা নিয়েও গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে এবিভিপি। পড়ুয়াদের সুরক্ষা-সহ ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হতে হবে।” ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, “ঘটনার দিন হস্টেলের আবাসিকরা ১০৬ নম্বর ঘর থেকে হাতাহাতি ও চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পেয়েছেন। তিন জন ছাত্র মিলে নাজিবকে মারছিল। নাজিবের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁকে প্রথমে ঘরে তালাবন্ধ করে রাখা হয়। এর পর নাজিবকে ওয়ার্ডেনের ঘরে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টাও করা হয়। তবে ওয়ার্ডেনের সামনেই নাজিবকে লক্ষ্য করে তীর্যক মন্তব্য চলতে থাকে।”
হস্টেল নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এবিভিপি-র বিক্রান্ত কুমার অবশ্য নাজিবকে মারপিটের ঘটনা উড়িয়ে দিয়েছেন। হস্টেলের সিনিয়র ওয়ার্ডেন সুশীল কুমার জানিয়েছেন, মাত্র দিন পনেরো আগে মাহি মান্ডভি হস্টেলে এসেছিলেন নাজিব। নাজিবের সঙ্গে এবিভিপি-র ছাত্রদের হাতাহাতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হস্টেলে ৪৫০ আবাসিক ছাত্র রয়েছেন। বিষয়টি আমাদের নজরে আনা হলেও এ নিয়ে কোনও প্রমাণ মেলেনি।” মেরুকরণের অভিযোগে ওয়ার্ডেনের দাবি, “ক্যাম্পাসে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়াটা চিন্তার বিষয়। এ ধরনের কাজকর্ম থেকে দূরে থাকতে পড়ুয়াদের অনুরোধ করব।”
আরও দেখুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy