উত্তরপ্রদেশের পর এ বার মধ্যপ্রদেশ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় আরও এক সাংবাদিককে খুন করার অভিযোগ উঠল মাফিয়ার বিরুদ্ধে।
সপ্তাহ কয়েক আগে এক মন্ত্রী ও কয়লা মাফিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের এক সাংবাদিক যোগেন্দ্র যাদব। ফেসবুকে সেই সংক্রান্ত পোস্ট করার পর পুলিশ হানা দেয় তাঁর বাড়িতে। পরিবারের অভিযোগ, যোগেন্দ্র তাতে বাধা দিতে গেলে সেখানেই তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। সেই পরিস্থিতিতে আরও এক সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, জবলপুরের এক হিন্দি দৈনিকের সাংবাদিক সন্দীপ কোঠারি (৪০) বালাঘাটের কাতাঙ্গী তহসিলে সাংবাদিকতা করতেন। একটি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ওই সাংবাদিক দু’মাস আগে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করায় তাঁকে ভুয়ো মামলায় বার বার ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের।
শুক্রবার রাতে বালাঘাট থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। গতকাল রাতে মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা জেলায় রেললাইনের ধার থেকে তাঁর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, সন্দীপ সম্প্রতি অবৈধ বালি খননের বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগ জানান। এর পরেই ওই বালি মাফিয়ারা সেই অভিযোগ ফেরত নিয়ে নেওয়ার জন্য সন্দীপকে হুমকি দেয়। সেই কারণেই তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, প্রথমে সন্দীপকে ভয় দেখিয়ে অভিযোগ তুলতে রাজী করানোর চেষ্টা করে তারা। শেষ পর্যন্ত তা না হওয়ায়, তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তে নেমে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে রাকেশ নসভানি, বিশাল ডান্ডি এবং ব্রিজেশ দুহারওয়াল নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তেরা বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা চালানোর পাশাপাশি ওই অবৈধ বালি খননের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
বালাঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক কিশোর সামরিতে এ দিন বলেন, ‘‘বালি মাফিয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে লেখালেখি করেছিলেন সন্দীপ। তার জন্য তাঁকে ১২ বার ভুয়ো অপরাধের মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল।’’ এই জন্য ওই সাংবাদিকের পরিবারকেও মাফিয়ারা নানা ভাবে হুমকি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিতে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নীরজ সোনির বক্তব্য, ‘‘সে দিন রাতে বন্ধুর সঙ্গে বাইকে চড়ে উম্রি গ্রামে যাওয়ার সময়ে অভিযুক্তরা সন্দীপকে অপহরণ করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy