কমল নাথ। —ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার উন্নাওয়ের ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এক গুচ্ছ নির্দেশে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের মুখ পুড়েছে। আর তার পরেই বিপক্ষ আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা শুক্রবার টুইটে লেখেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রমাণ হল উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ চলছে।’ বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইটে বলেছেন, ‘নিগৃহীতার পাশে দাঁড়িয়ে সঠিক কাজই করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। উন্নাওয়ের নিগহীতা ও তাঁর পরিবার যে পরিমাণ হেনস্থার শিকার হচ্ছে, তা ক্ষমার অযোগ্য। উত্তরপ্রদেশের সরকারের পক্ষে তা লজ্জার।’ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ আরও এক ধাপ এগিয়ে নিগৃহীতার পরিবারকে তাঁর রাজ্যে এসে বসবাসের আহ্বান জানিয়েছেন। কমল নাথ বলেন, মধ্যপ্রদেশে তাঁরা যাতে সম্পূর্ণ নিরাপদে ও নির্ভয়ে থাকতে পারেন, রাজ্য সরকার তার ব্যবস্থা করবে। উন্নাও ধর্ষণের মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে নির্দেশ শীর্ষ আদালত দিয়েছে, তাকেও স্বাগত জানান কমল নাথ।
উন্নাওয়ের ঘটনায় বিজেপি যে কোণঠাসা, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও তা বুঝেছেন। তবে ঠাকুর ভোট ধরে রাখতে অভিযুক্ত বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারকে বহিষ্কারের ঘোষণা শুক্রবারেও করতে পারেননি সভাপতি অমিত শাহ বা বিজেপির অন্য কোনও কেন্দ্রীয় নেতা। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি স্বতন্ত্রদেব সিংহ জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সেঙ্গারকে বহিষ্কার করেছে বলে তিনি খবর পেয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শুক্রবারেও এ বিষয়ে চুপ। তবে সাংসদদের আচরণ শেখাতে শনিবার থেকে দু’দিনের প্রশিক্ষণ শিবির করছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দলের সবাপতি অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
রবিবার নিগৃহীতার গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কার পরে বরাবাঁকীর স্কুলছাত্রী মুনিয়া কিদোয়াই এক পুলিশকর্তাকে তা নিয়ে প্রশ্ন করে অস্বস্তিতে ফেলে। বৃহস্পতিবার প্রিয়ঙ্কা গাঁধী টুইটে বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ওই ছাত্রীর প্রশ্নের জবাব দিতে হবে!’ মুনিয়া মুখ খোলায় তার পরিবার আতঙ্কে। মুনিয়ার বাবা জানান, ওই ভিডিয়োর জেরে তাঁরাও আক্রমণের আশঙ্কা করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy