Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
National News

লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে লড়বেন করিনা?

করিনাকে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী করার দাবিতে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস নেতা গুড্ডু চৌহান এবং আনিস খান দলের কাছে প্রস্তাব রেখেছেন। তাঁদের প্রস্তাব, করিনাকে ভোপাল থেকে দাঁড়ানোর সুযোগ দিক দল।

করিনা কপূর খান। ফাইল চিত্র।

করিনা কপূর খান। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১১:১৩
Share: Save:

বলিউডের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নতুন নয়। বহু তাবড় অভিনেতা ভোটের ময়দানে নেমেছেন। এ বার কি সেই তালিকায় নিজের নাম লেখাতে চলেছেন করিনা কপূর খান? অন্তত মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে কান পাতলে সেই কথাই শোনা যাচ্ছে। কংগ্রেস চাইছে এ বার রাজনীতিতে আসুন করিনা। তাদের টিকিটে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন লড়ুন।

করিনাকে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী করার দাবিতে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস নেতা গুড্ডু চৌহান এবং আনিস খান দলের কাছে প্রস্তাব রেখেছেন। তাঁদের প্রস্তাব, করিনাকে ভোপাল থেকে দাঁড়ানোর সুযোগ দিক দল।

করিনাকে বেছে নিতে চাইছেন কেন তাঁরা?

কংগ্রেসের ওই দুই নেতার দাবি, করিনাকে নিয়ে একটা ক্রেজ রয়েছে রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে। প্রচুর অনুরাগীও রয়েছে তাঁর। ফলে এই ‘টোটকা’টা ইভিএমে কাজে লাগতে পারে। শুধু তাই নয়, কিংবদন্তি ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পটৌডীর পুত্রবধূ করিনা। পটৌডীর জন্ম এই ভোপালেই। তাঁর ঠাকুরদা ছিলেন ভোপালের নবাব। তাই পটৌডী পরিবারের প্রতি ভোপালের মানুষের আলাদা শ্রদ্ধা রয়েছে। আনিস ও গুড্ডু তাই নিশ্চিত ভাবে মনে করেন, করিনা যদি ভোটে দাঁড়ান এই সব কারণগুলিই মিলিত ভাবে তাঁকে জেতাতে সাহায্য করবে। দুই নেতা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের কাছেও এ ব্যাপারে দরবার করবেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ‘ভাগ্যিস ঘুমোইনি, দাউদাউ করে জ্বলছিল, ন’মাসের বাচ্চা কোলে নিয়েই ছুটলাম’

কপূর পরিবারের কেউ রাজনীতিতে আসেননি ঠিকই, কিন্তু পটৌডী পরিবারের সঙ্গে রাজনীতির ভালই যোগ ছিল। মনসুর আলি খান নিজেই ১৯৯১-এ এই ভোপাল থেকেই লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে। কিন্তু বিজেপির সুশীলচন্দ্র বর্মার কাছে এক লক্ষ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান।

আরও পড়ুন: প্রায় দু’দশক পরে ফের বড় পর্দায় সিনেমা দেখতে পারবে কাশ্মীর!

করিনাকে প্রার্থী করানোর জন্য কংগ্রেসের মাতামাতি দেখে বিজেপি কটাক্ষ করতে শুরু করে দিয়েছে। ভোপালের বিজেপি সাংসদ অলোক সঞ্জর বলেন, “কংগ্রেসে কোনও নেতা নেই, তাই অভিনেতা দিয়ে নির্বাচনে লড়াই করতে চাইছে।” তাঁর আরও কটাক্ষ, রাজ্যে কংগ্রেসের কী হাল! স্থানীয় কোনও নেতা না পেয়ে দলকে এ বার মুম্বই থেকে প্রার্থী আমদানি করতে হচ্ছে। তবে আগামী নির্বাচনে বিজেপিই যে ভোপাল দখলে রাখবে সে কথাও জোর দিয়ে বলেন অলোক।

করিনাকে প্রার্থী করানোর দাবি ওঠার পর থেকেই জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তা হলে কি সত্যিই এ বার রাজনীতিতে নামতে চলেছেন বলি নায়িকা? যদিও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি করিনার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE