ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি তথা প্রাক্তন জেডি (এস) সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নার। পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবারই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল কর্নাটকের বিশেষ আদালত। শনিবার বিকেলে বহিষ্কৃত জেডি (এস) নেতার সাজা ঘোষণা করা হল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত।
কর্নাটকের হাসান জেলায় একটি খামারবাড়িতে পরিচারিকাকে আটকে রেখে বার বার ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ওই সময়ের ছবি এবং ভিডিয়ো তুলে রেখে পরে নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে নানাবিধ অভিযোগ আনা হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতির বিরুদ্ধে। কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গত এপ্রিল মাসে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। সিটের জমা দেওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে শুক্রবারই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন বেঙ্গালুরুর অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের বিচারক সন্তোষ গজানম ভাট।
শনিবার সাজা ঘোষণার আগে আদালতে প্রজ্বল দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। রাজনীতিতে তাঁর দ্রুত উপরে দিকে উঠতে থাকাই তাঁর একমাত্র দোষ বলেও দাবি করেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, তাঁকে যাতে তুলনামূলক কম কোনও শাস্তি দেওয়া হয়, সেই দাবিও করেছিলেন রেভান্না। শনিবার এজলাসে বিচারক সাজা ঘোষণার আগে প্রজ্বল বলেন, “ওরা বলছে আমি একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ করেছি। কিন্তু কোনও মহিলাই স্বেচ্ছায় অভিযোগ করতে আসেননি। তারা নির্বাচনের (গত বছরের লোকসভা ভোটের) ছ’দিন আগে এই অভিযোগ নিয়ে হাজির হন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁদের অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন:
বস্তুত, গত লোকসভা ভোটে হাসনে জেডি (এস)-এর টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন রেভান্না। সেখানে ভোটের আগে একটি পেনড্রাইভ প্রকাশ্যে আসে। ওই পেনড্রাইভে রেভান্নার যৌন হেনস্থার একাধিক ভিডিয়ো ছিল বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই দেবগৌড়ার নাতিকে দল থেকে বহিষ্কার করে জেডি (এস)। রেভান্না আদালতে এ-ও বলেন, “আমার একটি পরিবার আছে। ছ’মাস হয়ে গেল, মা-বাবার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। আদালতের কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাকে লঘু শাস্তি দিন। জীবনে আমার একমাত্র দোষ হল, আমি রাজনীতিতে দ্রুত উন্নতি করছিলাম।”