গুজরাতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল গ্রাম। কর্নাটকের ভোটফলে দেখা গেল, শহরের ক্ষত যতটা না মেরামত করতে পেরেছে বিজেপি, তার থেকেও বেশি সফল হয়েছে গ্রামে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘প্রচারের সময়ে ওই প্রচণ্ড গরমে গ্রামের মানুষেরা আমায় যে ভাবে আপ্যায়ন করেছিলেন, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, বদল আসছে।’’
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-পাওয়ার আফশোসের মধ্যেও গ্রামাঞ্চলে এই সাফল্যই আশার আলো দেখাচ্ছে বিজেপিকে। কারণ, লোকসভা নির্বাচনের আগে গ্রাম ও গরিবই বিজেপির মূল অস্ত্র হবে।
কর্নাটকে যে ২২২টি আসনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে আধা শহর ও গ্রামের সংখ্যা ১৬০টির বেশি। এর মধ্যে ৭৪টির মতো কেন্দ্রে আজ বাজি জিতেছে বিজেপি। দশ বছর আগেও সংখ্যাটি এক ছিল। প্রশ্ন হল, নিজের রাজ্য গুজরাতেই যেখানে গ্রামের মন জয় করতে পারেননি মোদী, বিজেপির দক্ষিণ ‘প্রবেশ দ্বারে’ তা সম্ভব হল কী করে? বিজেপি সূত্রের মতে, গুজরাতে হারের পরেই কর্নাটকের গ্রামে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল। আরএসএসও গ্রামে গ্রামে কাজ করেছে। ভোটের আগে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার জনপ্রিয়তা আছে গ্রামাঞ্চলে। এর মোকাবিলা করাই লক্ষ্য ছিল বিজেপির। প্রচারে নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি মেলে ধরা হয়েছে। ভোটের ইস্তাহারেও কৃষিঋণ মকুবের টোপ, গরিব মহিলাদের স্মার্টফোনের মতো প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। সন্ধেবেলা বিজেপির সদর দফতরে দলীয় কর্মীদের মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহও বলেন, ‘‘গ্রামীণ ও দরিদ্র মানুষের জন্য মোদী সরকার যে প্রকল্পগুলো এনেছেন, সেগুলোই এই জয়ে সাহায্য করেছে।’’