Advertisement
E-Paper

স্কুলে বসে একসঙ্গে হাত কাটল ১৪ ছাত্রী, কারণ খুঁজতে হয়রান শিক্ষিকারা

কর্নাটকের একটি স্কুলে ১৪ জন কিশোরী ব্লেড দিয়ে নিজেদের হাত কেটেছে। তবে তাদের কারও আঘাতই তেমন গুরুতর নয়। কেন তারা এই কাজ করল, তা-ও স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:০৭
Karnataka girl students behave mysteriously.

—প্রতীকী চিত্র।

কর্নাটকের একটি স্কুলে একসঙ্গে ১৪ জন কিশোরী ব্লেড দিয়ে নিজেদের হাত কেটেছে বলে খবর। তবে তাদের এই আচরণের কারণ জানা যায়নি। ওই কিশোরীদের আত্মহত্যার পরিকল্পনা ছিল বলেও মনে করছে না পুলিশ। কারণ, মৃত্যুর উদ্দেশ্য নিয়ে হাত কাটেনি প্রায় কেউই। তাদের প্রত্যেকের হাতে ব্লেডের একাধিক আঁচড় ছিল। রক্তাক্ত হলেও সেই আঘাত তেমন গুরুতর নয়।

কর্নাটকের উত্তর কন্নড় জেলার দাণ্ডেলী শহরের ঘটনা। যে ১৪ ছাত্রী এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা নবম কিংবা দশম শ্রেণিতে পাঠরত। স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের কাণ্ড জানতে পেরে দ্রুত অভিভাবকদের খবর দেন। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় প্রত্যেককেই। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল।

পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীদের প্রত্যেকের হাতে যে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি ব্লেডের। দাড়ি কাটার জন্য যে রেজ়ার ব্যবহার করা হয়, তা দিয়ে কিশোরীরা হাত কেটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। তাদের হাতের কব্জির কয়েক সেন্টিমিটার উপরে ১৪ থেকে ১৫টি করে কাটা ক্ষত ছিল।

ছাত্রীদের অভিভাবক বা শিক্ষিকা, কেউই তাদের এই আচরণের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। ওই ছাত্রীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন কারণ জানিয়েছে বলে খবর। কেউ বলেছে, বাড়িতে বাবা, মায়ের বকুনি খেয়ে মন খারাপ ছিল। তাই এই কাজ করেছে। কারও আবার দাবি, স্কুলে বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া করে হাত কেটে ফেলেছে। পুলিশের কাছে কোনও ব্যাখ্যাই যুক্তিসঙ্গত মনে হয়নি। তাই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, স্কুলে এমন কিছু হয়েছিল যে, একসঙ্গে এত ছাত্রী একই ভাবে নিজেকে আঘাত করতে উদ্যত হয়েছে। ঘটনার ব্যাখ্যা খুঁজতে মনোবিদদের পরামর্শও নিচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Karnataka Blade Shaving Razor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy