স্কুলপড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন আগেই নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল কর্নাটক সরকার। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্কুলপড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন যেন তাঁদের ওজনের ১৫ শতাংশের বেশি না হয়, আগেই সেই নির্দেশ জারি করেছিল কর্নাটক সরকার। প্রায় চার বছরের পুরনো সেই নিয়মের কথা আবার স্কুলগুলিকে তারা মনে করিয়ে দিল। নতুন করে স্কুলে স্কুলে পাঠানো হল ২০১৯ সালের সার্কুলার। ব্লক স্তরের শিক্ষা আধিকারিকদেরও ব্যাগের ওজন সংক্রান্ত নিয়মের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
২০১৯ সালে কর্নাটক সরকার স্কুলগুলির জন্য যে সার্কুলার জারি করেছিল, তাতে বলা হয়েছিল, ছাত্র বা ছাত্রীর দেহের ওজনের চেয়ে তার পিঠের ব্যাগের ওজন কোনও ভাবেই যেন বেশি না হয়। ব্যাগের ওজন হবে দেহের ওজনের ১৫ শতাংশ বা তার কম। সার্কুলারে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন দেড় থেকে দু’কেজি, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন দুই থেকে তিন কেজি, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন তিন থেকে চার কেজি এবং নবম, দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন চার থেকে পাঁচ কেজি হবে বলে জানানো হয়।
ওই সার্কুলারে আরও বলা হয়, স্কুলগুলিতে সপ্তাহে এক দিন ‘ব্যাগহীন দিবস’ পালন করতে হবে। সে দিন ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাবে ব্যাগের বোঝা ছাড়াই। সম্ভব হলে শনিবার দিনটিকেই ‘ব্যাগহীন দিবস’-এর জন্য বেছে নিতে বলা হয়েছিল।
প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে স্কুলে পড়ুয়াদের ভারী ব্যাগের বোঝা লাঘব করার জন্য কর্নাটক সরকার একটি কমিটি গঠন করেছিল। ২০১৮-১৯ সালে সেই কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশ করে। তার পরেই স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন বেঁধে দেয় সরকার।
স্কুলপড়ুয়াদের ভারী ব্যাগ নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। স্কুলের বইখাতার চাহিদা মেটাতে গিয়ে কোনও কোনও ক্ষেত্রে নিজের চেয়েও পড়ুয়ার ব্যাগ বেশি ভারী হয়ে যায়। পড়ুয়াদের কষ্ট কমাতে উদ্যোগী হয় কর্নাটক সরকার। কোনও কোনও স্কুলে সেই সার্কুলার শিথিল হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই নতুন করে আবার সার্কুলার জারি করা হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy