Advertisement
E-Paper

ইঞ্জিনিয়ার-মৃত্যু: ওলা-র প্রতিষ্ঠাতা ভবেশকে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ আদালতের, বাড়ল রক্ষাকবচের মেয়াদ

গত ২৮ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুর চিক্কালাসান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাটে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন ওলা-র ইঞ্জিনিয়ার কে অরবিন্দ। তাঁর বাড়ি থেকে মেলে ২৮ পাতার একটি সুইসাইড নোট। সেখানে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ভবেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৪৯
Karnataka HC asks Ola’s Bhavish Aggarwal and others to cooperate in engineer’s death probe

ওলা প্রতিষ্ঠাতা ভবেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে দায়ের হল মামলা। — ফাইল চিত্র।

ওলা-র ইঞ্জিনিয়ারের আত্মহত্যার ঘটনায় সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ভবেশ আগরওয়ালকে তদন্তে সক্রিয় ভাবে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিল কর্নাটক হাই কোর্ট। শুধু ভবেশ নন, ওই সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান সুব্রত দাসকে একই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচের মেয়াদও বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ভবেশদের ‘বিরক্ত’ করা যাবে না।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুর চিক্কালাসান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাটে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন ওলা-র ইঞ্জিনিয়ার কে অরবিন্দ। ৩৮ বছরের ওই যুবক ২০২২ সাল থেকে ওই সংস্থায় কাজ করতেন। মৃত্যুর কিছু দিন পর অরবিন্দের ঘর থেকে ২৮ পাতার একটি সুইসাইড নোট খুঁজে পান তাঁর ভাই। সেখানে কর্মক্ষেত্রে তাঁকে কী ভাবে হেনস্থা করা হত— তা বিশদ লিখেছিলেন অরবিন্দ। অভিযোগ, তাঁকে নিয়মিত বেতনও দেওয়া হত না। সুইসাইড নোটে ভবেশ এবং সুব্রতের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেন অরবিন্দ। তাঁর মৃত্যুর পর ভবেশদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অরবিন্দের ভাইয়ের দাবি, দাদার মৃত্যুর দু’দিনের মাথায় রহস্যজনক ভাবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৭ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে।

অরবিন্দের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। সেই এফআইআরের বিরুদ্ধে কর্নাটক হাই কোর্টে মামলা করেন ভবেশরা। বিচারপতি মহম্মদ নওয়াজ়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি চলাকালীন ওই সুইসাইড নোটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীরা। তাঁদের দাবি, ওই সুইসাইড নোট আদৌ অরবিন্দ লিখেছিলেন, না কি অভিযোগকারী লিখে তাঁর দাদার নামে চালাচ্ছেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

মামলাকারীদের আরও দাবি, অরবিন্দের মৃত্যু সম্পর্কিত ছবি এবং সাক্ষাৎকারের প্রচারে ওলা-র ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। শেয়ার বাজারেও ক্ষতির মুখে পড়েছে সংস্থা। অন্য দিকে, মৃতের পরিবারের আইনজীবী, ওলা-কে ‘ইস্ট ইন্ডিয়া’ কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করেছেন। একই সঙ্গে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন। দাবি, এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবেশদের নোটিস পাঠানো হলেও তাঁরা হাজিরা দেননি। শুধুমাত্র চিঠি দিয়ে দায়িত্ব সেরেছেন। সওয়াল-জবাব শেষে আদালত ভবেশদের আরও সক্রিয় ভাবে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেয়।

Ola Suicide Case Karnataka High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy