Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Love Jihad

Love Jihad: হরিজন হয়ে মুসলিমকে বিয়ের ‘অপরাধে’ আদালত থেকে যুগলকে তাড়াল করণী সেনা

রেজিস্ট্রি বিয়ে করতে গিয়ে করণী সেনার তাণ্ডবে কোর্ট থেকে পালাতে হল যুগলকে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
বালিয়া শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২১ ১৫:১৩
Share: Save:

ধর্মান্তকরণ রোখার নামে উত্তরপ্রদেশে জোর করে ভিন্‌ধর্মী যুগলের বিয়ে আটকে দেওয়ার অভিযোগ করণী সেনার বিরুদ্ধে। হাঙ্গামা বাধিয়ে আদালত থেকে চত্বক থেকে ওই যুগলকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনার একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আনন্দবাজার অনলাইন ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি। তাতে ১৮ ঊর্ধ্ব জানানো সত্ত্বেও ওই তরুণীকে কার্যত হেনস্থা করতে দেখা গিয়েছে করণী সেনার সদস্যদের। সংগঠনের প্রধান চেতন সিংহের নির্দেশেই হিন্দু-মুসলিম বিয়ে আটকানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তাঁরা।

বুধবার উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় জেলা আদালত চত্বরে এই ঘটনা ঘটেছে। ২৪ বছরের দিলশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে রেজিস্ট্রি বিয়ে করতে এসেছিলেন ওই দলিত তরুণী। কিন্তু খবর পেয়ে সেখানে এসে করণী সেনার সদস্যরা হট্টগোল শুরু করে দেন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে বিয়ের ফেলে রেখে আদালত থেকে বেরিয়ে যান ওই যুগল। কিন্তু ফোনে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে করতে তাঁদের পিছু নেন করণী সেনার সদস্যরা। তিনি কোন জাতের, বয়স কত, এ ভাবে বাবা-মায়ের মান সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা করছেন কেন, প্রশ্নবাণে তরুণীকে বিদ্ধ করতে থাকেন তাঁরা।

প্রথমে চুপ থাকলেও, মেয়েটি জানান তাঁরা হরিজন। ১৮ ঊর্ধ্ব তিনি। নিজের ইচ্ছেতেই দিলশাদকে বিয়ে করতে চান। কারণ তাঁর বিশ্বাস, দিলশাদের সঙ্গে ভাল থাকবেন তিনি। বোরখা পরে কেন আদালতে এসেছেন, তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ওই তরুণীকে। তিনি জানান, নিজের ইচ্ছেতেই বোরখা পরে এসেছেন। কিন্তু তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি করণী সেনার সদস্যদের। তাই দিলশাদকে হেনস্থা করতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। তাতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি। তার পরই সটান মেয়েটিকে বালিয়া কোতোয়ালি থানায় টেনে নিয়ে যান। সেখানে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। থানা থেকে মেয়েটিকে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:

বালিয়ার পুলিশ সুপার বিপিন তাডা বলেন, ‘‘অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে মেয়েকে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ওই তরুণীর বাবা। ওই তরুণীকে শীঘ্রই আদালতে তুলব আমরা। সেখানে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। ওই তরুণী প্রাপ্তবয়স্ক। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’ তবে জোর করে ধর্মান্তরণের অভিযোগ উঠলেও, তার কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেও জানিয়েছেন তাডা। উভাঁও থানায় ওই তরুণীর বাবা অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু সেখানকার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জ্ঞানেশ্বর মিশ্র জানিয়েছেন, বুধবার আদালত চত্বরে হাঙ্গামার পর বিকেলে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণীর বাবা। তিনি জানান, দু’দিন ধরে মেয়ে বাড়ি ফেরেনি। পরে শোনেন মেয়ের ধর্মান্তরণ করা হচ্ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE