সত্তর দিন হয়ে গেল। বিক্ষোভে উত্তাল কাশ্মীর উপত্যকায় স্তব্ধ স্বাভাবিক জনজীবন। আজ থেকে ফের নতুন করে কার্ফু জারি করা হয়েছে শ্রীনগর-সহ কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি জেলায়। মূলত শুক্রবারের প্রার্থনার পরে বিক্ষোভ রুখতেই এই আগাম সতর্কতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর এরই মধ্যে পাথর হাতে বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলা করতে নতুন উপায় বাতলেছে ভারতীয় সেনা। তারা জানিয়েছে, এ বার থেকে বিক্ষোভ সামলাতে প্যানথেরা টি-৬ নামে একটি সাঁজোয়া গাড়ি ব্যবহার করা হবে। পুলিশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই সাঁজোয়া গাড়ি ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অবন্তিপোরার এক শীর্ষ সেনা আধিকারিক জানান, বিক্ষোভে উন্মত্ত জনতার হাতে যাতে কোনও পুলিশ বা আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান হতাহত না হন, তাই এই সিদ্ধান্ত।
উপত্যকার দক্ষিণ অংশ এখন সব চেয়ে উপদ্রুত বলে মনে করছে পুলিশ। তাই প্রাথমিক ভাবে দক্ষিণ কাশ্মীরের প্রতিটি সেনা ইউনিটকে দু’টি করে প্যানথেরা টি-৬ দেওয়া হচ্ছে। অত্যাধুনিক মানের এই সাঁজোয়া গাড়িতে ‘রিয়েল টাইম পাবলিক মনিটরিং সিস্টেম’ এবং ‘হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা’ রয়েছে। তাতে গাড়ির ভিতর থেকেই বাইরে নজর রাখা যাবে।
মৃত্যু মিছিল থেমে নেই ভূস্বর্গে। গত ৫ সেপ্টেম্বর পুলওয়ামায় এক সংঘর্ষে নিরাপত্তারক্ষীদের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল লেগে আহত হয়েছিলেন বসিত মুখতার নামে এক যুবক। হাসপাতালে ছিলেন তিনি। আজ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। রাতে শ্রীনগরে বাহিনী-জনতা সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ১৫ বছরের মোমিন আলতাফ গনাইয়ের। এই দুই মৃত্যুর ফলে সত্তর দিন ধরে চলা বিক্ষোভ-আন্দোলনে বলির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮১।
এর মধ্যেই আবার উপত্যকার মানবাধিকার কর্মী খুররম পারভেজকে নিয়ে নতুন বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়েছে। গত বুধবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে জেনিভা যাচ্ছিলেন খুররম। ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
তাঁকে আটকান অভিবাসন অফিসারেরা। কাল দিল্লি থেকে শ্রীনগর ফিরেছিলেন খুররম। কাল রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে কাশ্মীর পুলিশ। তবে গ্রেফতারের কারণ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy