ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলের দর্শক কাশ্মীরি কিশোরী। শুক্রবার শ্রীনগরে। ছবি: রয়টার্স।
সীমান্তে টানটান উত্তেজনার মধ্যেই কাশ্মীর নিয়ে প্রস্তাব পাশ করল পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। সেখানে বলা হয়েছে, কাশ্মীর কোনও ভাবেই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়।
ভারতের তরফ থেকে ইসলামাবাদে সার্ক বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত ও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরে পাক পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন ডাকতে উদ্যোগী হন নওয়াজ শরিফ। সেখানে কাশ্মীর প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দল এককাট্টা হলেও কূটনীতির ব্যর্থতার অভিযোগে শরিফকে কাঠগড়ায় তোলে প্রধান বিরোধী দল পিপিপি। বিরোধীদের অভিযোগ, শুধু ভারত নয়, সার্কের চারটি দেশ পাকিস্তানে ডাকা সার্কের বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এবং এটা আগাম বুঝতেও ব্যর্থ হয়েছে পাক সরকার। কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্যে সাড়া দিতেও অনীহা দেখা গিয়েছে শক্তিধর দেশগুলির মধ্যেও। ফলে দুনিয়ার সামনে একঘরে হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। এমনকী, জইশ প্রধান হাফিজ সইদের মতো সন্ত্রাসবাদীদের কী কারণে রেয়াত করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে খোদ নওয়াজের দল থেকেই।
এর পরেও যদিও কাশ্মীর সংক্রান্ত প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিতেই পাশ হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, কাশ্মীর ভারতের অঙ্গ নয়, একটি বিতর্কিত এলাকা। ভারত সরকার বিভিন্ন কালা কানুনের মাধ্যমে সেখানকার মানুষদের উপর ‘অত্যাচার’ চালাচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক দুনিয়া সরেজমিনে তদন্ত করে দেখুক। পাকিস্তান পার্লামেন্ট কাশ্মীরের বিষয় নিয়ে ভারতের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে। হুরিয়ত নেতাদের মুক্তির দাবিও তুলেছে তারা। যৌথ অধিবেশন বয়কট করেছে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। ইমরানের অভিযোগ, নওয়াজ শরিফ সব দিক থেকেই ব্যর্থ হয়েছেন। পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন ডাকারও যুক্তি নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy