পঞ্চায়েত ভোটে জোর টক্কর চলছিল সিপিএম এবং ‘ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’-এর অন্যতম জোট সঙ্গী ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের (আইইউএমএল)। শেষমেশ ৪৭ ভোটে জয়ী হন কেরলের মলপ্পুরমের থেন্নেলা পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী সৈয়দ আলি মজিদ। বিজয় মিছিলের মাঝে প্রার্থীর বিজয় ভাষণ শুরু হল। তার পরেই সৃষ্টি হল বিতর্ক। চরম মহিলাবিদ্বেষী মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল বিজয়ী সিপিএম প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
মজিদের বিরুদ্ধে আইইউএমএল দাঁড় করিয়েছিল মহিলা প্রার্থীকে। তাঁকে কটাক্ষ করতে গিয়ে সিপিএম প্রার্থীর মন্তব্য, ‘‘মহিলারা কাজ কেবল স্বামীর শয্যায়। তাঁরা প্রকাশ্যে শুতে পারেন না।’’ এখানেই শেষ নয়, এর পর প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিশানা করতে গিয়ে একের পর এক মহিলাবিদ্বেষী মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
মজিদ বলেছেন, তাঁদের দলেও অনেক বিবাহিত মহিলা আছেন। তাঁদের সংসার আছে। শুধুমাত্র ভোটে জেতার জন্য মহিলাদের ব্যবহার করে না সিপিএম। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীরা সেটা করেছেন। বিজয়ী প্রার্থীর ঘোষণা, ‘’২০, ২৫ এমনকি ২০০, যত জন মহিলা প্রার্থীকেই ভোটে দাঁড় করান না কেন, আমাদের বাড়িতেও তো বিবাহিত মহিলারা আছেন। ঠিক এই কারণেই বিয়ের আগে পারিবারিক ঐতিহ্য যাচাই করে নেওয়া হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘একটি ভোট পেতে কিংবা একটি ওয়ার্ডে জয়লাভের জন্য অন্য পুরুষদের সামনে তাঁদের দাঁড় করানো হয় না। আমাদের বাড়ির মহিলাদের বিয়ে হয়েছে, সন্তানদেরও বিয়ে হয়েছে। মহিলাদের কাজ স্বামীর শয্যায় এবং সন্তান উৎপাদনে।’’
আরও পড়ুন:
মজিদ সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক ছিলেন। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন। ৬৬৬টি ভোট পেয়ে ৪৭ ভোটে আইইউএমএল প্রার্থীকে পরাজিত করেন। তার পরেই এই মন্তব্য করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে আইইউএমএল সিপিএম নেতার মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছে। তবে এই বিতর্কে কেরল সিপিএম নেতৃত্বের এ পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।