প্রতীকী ছবি।
যে আইএএস অফিসারের গাড়ির ধাক্কায় সাংবাদিক কে মহম্মদ বশিরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই অফিসার শ্রীরাম বেঙ্কিটারামনকে দু’সপ্তাহের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল মালয়ালাম সংবাদপত্র ‘সিরাজ’-এর সাংবাদিক বশিরের। পুলিশ জানিয়েছিল, অভিযুক্ত আইএএস অফিসার মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় বেঙ্কিটারামনের বাঁ হাত ভেঙে গিয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর রুমের সামনে তিন সদস্যের একটি পুলিশের দল মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাতে হাসপাতালে যান বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। সেখানেই ওই আইএএস অফিসারকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। আগামী দু’সপ্তাহ বেঙ্কিটারামন হাসপাতালেই থাকতে পারেন। পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসকেরা অনুমতি দিলে অভিযুক্ত আইএএস অফিসারকে জেলে নিয়ে যাওয়া হবে। আজ িতরুঅনন্তপুরমের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, প্রথম দিকে দুর্ঘটনা নিয়ে বয়ানে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে বেঙ্কিটারামনই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। অভিযোগ, দুর্ঘটনার সময় মত্ত অবস্থায় ছিলেন ওই আইএএস অফিসার। ঘটনার দিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তিনি রক্ত পরীক্ষায় রাজি হননি। গত কাল সকাল ১০টা নাগাদ বেঙ্কিটারামনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সাংবাদিকের মৃত্যুতে গত কাল শোকপ্রকাশ করেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। আজ তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সরকার কোনও আধিকারিককে বাঁচানোর চেষ্টা করবে না। তাঁর কথায়, ‘‘আইনের চোখে সকলেই সমান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy