গত সপ্তাহে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাঙ্ক ডাকাতি হয়েছিল কেরলের ত্রিশূরে। ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা লুট করে চম্পট দিয়েছিলেন হেলমেট পরিহিত এক যুবক। তদন্তে নেমে আগেই রিজো অ্যান্টনি নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ বার জানা গেল, দেনা শোধ করতেই মরিয়া হয়ে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ছক কষেছিলেন যুবক!
আরও পড়ুন:
ধৃত অ্যান্টনি কেরলের চালকুডির বাসিন্দা। আর্থিক অনটন থাকলেও বেশ সচ্ছল জীবনযাপন করতেন ওই যুবক। অ্যান্টনিকে জেরা করে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিদেশে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। এ দিকে ক্রমেই বাড়ছিল ঋণের অঙ্ক। তাই মরিয়া হয়ে শেষমেশ ব্যাঙ্ক ডাকাতির ছক কষেন যুবক। পরিকল্পনা ছিল, স্ত্রীর ফেরার আগেই সব দেনা শোধ করে দেওয়ার। সেই মতো গত সপ্তাহে ত্রিশূরের ওই ব্যাঙ্কে হানা দেন অ্যান্টনি। ভরদুপুরে ব্যাঙ্কে ঢুকে আচমকাই পকেট থেকে ছুরি বার করেন। তার পর একে একে ব্যাঙ্ককর্মীদের জড়ো করে বাথরুমে আটকে দিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা লুট করে পালান তিনি। গোটা ঘটনাই ঘটে মাত্র তিন মিনিটেরও কম সময়ে! এর পরেই অভিযুক্তের খোঁজে আশপাশের এলাকায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকাতির গোটা ঘটনা ধরা পড়েছিল ব্যাঙ্কে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেখান থেকেই জানা যায়, অ্যান্টনি স্কুটারে চেপে ব্যাঙ্কে এসেছিলেন। মাথায় ছিল কালো রঙের হেলমেট। নিজের স্কুটারে চেপে এলেও স্কুটারের পরিচয় লুকোতে ভুয়ো নম্বরপ্লেটও লাগিয়েছিলেন অভিযুক্ত। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যাঙ্কের সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় ছিল অ্যান্টনির। ব্যাঙ্কে তাঁর অবাধ যাতায়াতও ছিল। ফলে দিনের কোন সময়ে ব্যাঙ্কে কত জন কর্মী বা গ্রাহক থাকেন, সব ছিল তাঁর নখথদর্পণে। ওই যুবকের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকাই উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।