Advertisement
E-Paper

মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারই মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল কেরলের যুবতীকে? ধৃত স্বামী

২০২৩ সালের মে মাসে প্রবীণের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বিষ্ণুজার। প্রবীণ পেশায় এক জন পুরুষ নার্স। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বিষ্ণুজাকে নানা ভাবে হেনস্থা করতেন প্রবীণ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:২৯
Kerala woman\\\'s death reveals chilling tale of humiliation

(বাঁ দিকে) প্রবীণ এবং বিষ্ণুজা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বিয়ের পর থেকেই হেনস্থা চলত। শুধু মানসিক নয়, শারীরিক অত্যাচারও করতেন! জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ তুলে থানায় দ্বারস্থ হন কেরলের এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কেরলের মালাপ্পুরমের বাসিন্দা প্রবীণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সপ্তাহখানেক আগে বন্ধ ঘর থেকে বিষ্ণুজা নামে ২৫ বছর বয়সি এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাবা মৃতার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

২০২৩ সালের মে মাসে প্রবীণের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বিষ্ণুজার। প্রবীণ পেশায় এক জন পুরুষ নার্স। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করতেন প্রবীণ। স্ত্রী সুন্দরী নন, চাকরি জোগাড় করতে পারছেন না— এমন নানা ছুতোয় মানসিক নির্যাতন চলত! তবে এত কিছুর পরও চুপ ছিলেন ওই তরুণী। তাঁর বাবা বাসুদেবনের দাবি, ‘‘মেয়ে কোনও দিন বুঝতে দেয়নি যে সে কষ্টে আছে!’’

বাসুদেবনের কথায়, ‘‘প্রবীণ প্রায়ই আমার মেয়েকে রোগা বলে খোঁটা দিত। বলত, সুন্দরী নয়, তাই বাইকে বসাবে না। বিয়ের পরই প্রবীণ চাকরি জোগাড় করতে বলেছিল বিষ্ণুজাকে। সেই মতো বিষ্ণুজা নানা চাকরির পরীক্ষাও দেয়। কিন্তু চকরি পায়নি। অনেক চেষ্টা করেও বার বার ব্যর্থ হওয়ায় ভেঙে পড়েছিল সে।’’ কিন্তু এত কিছুর পরেও বিষ্ণুজা তাঁর বাবা-মাকে কষ্টের কথা জানাননি বলেই দাবি বাসুদেবনের। বাসুদেবন বলেন, ‘‘আমরা জানতে পারি প্রবীণ মেয়েকে মারধর করে। তখন প্রতিবাদ করি। বিষ্ণুজাকে ফিরে আসতেও বলি। কিন্তু সে বলেছিল, বাপের বাড়ি ফিরবে না। প্রবীণ ঠিক বদলে যাবে।’’

বিষ্ণুজার বাবার আক্ষেপ, শেষ পর্যন্ত তাঁর মেয়েকে জীবন দিতে হল। প্রবীণের পরিবারের দাবি, বিষ্ণুজা আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু সেই তত্ত্ব মানতে নারাজ বাসুদেবন। তাঁর পাল্টা দাবি, বিষ্ণুজাকে খুন করেছেন প্রবীণ। শুধু বিষ্ণুজার বাবা নন, তাঁর বন্ধুবান্ধবেরাও একই অভিযোগ তুলেছেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তাঁর এক বন্ধুর কথায়, ‘‘প্রবীণ সব সময় স্ত্রীর উপর নজরদারি চালাত। এমনকি, বিষ্ণুজার হোয়াট্‌সঅ্যাপও নিজের ফোনের সঙ্গে সংযোগ করে রেখেছিল। বিষ্ণুজা কার সঙ্গে কী কথা বলছে, সব কিছু দেখত। তাই ভয়ে বিষ্ণুজা বাড়ির লোক বা বন্ধুদের কিছু জানাতে পারত না।’’

Kerala Death arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy