হোয়াট্স অ্যাপে তালাক বিয়ের দশ দিনের মধ্যেই! স্ত্রীকে তালাক দিতে এ বার সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করল কেরলের এক যুবক।
মেসেজে শুধু তিন বার লেখা তালাক। কেন এই ধরনের মেসেজ যুবকটিকে তাঁর স্ত্রী প্রশ্ন করলে শুধু উত্তর পান, “আপেলে কারও কারও আগ্রহ থাকলেও, সে কিন্তু আম খেতেও চায়।”
আজমল বশির নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, কলেজ পড়ুয়া ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় বশিরের। বিয়ের দশ দিন পরেই আচমকা তালাকের মেসেজ পান। এ নিয়ে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থও হন ওই মহিলা।
মহিলা কমিশনও এই হোয়াট্স অ্যাপ তালাক-এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এত দিন এই তালাকের বিষয়টি মৌখিক রাতিনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়ার কবলে চলে যাচ্ছে। দেশের ১০টি রাজ্যে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এখন স্কাইপি, এসএমএস, ই-মেলের মাধ্যমেই বিষয়টি সেরে ফেলছেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তালাকের বিষয়টিকে প্রশ্রয় দিলে অনেক মেয়েরই জীবনে দুর্দিন নেমে আসবে।
হোয়াট্সঅ্যাপে স্বামীর পাঠানো মেসেজে তালাকের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি এই মহিলাও। তিনি নিজের অধিকারের লড়াইয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে আইনি মামলা করেন।