কর্নাটকের ব্যবসায়ী ইউসুফ শরিফ ওরফে কেজিএফ বাবু।
কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের প্রার্থিপদই তাঁর লক্ষ্য। তবে এখনও ভোটের টিকিট না পেলেও আগামী পাঁচ বছরের জন্য চিকপেট বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা দানের পরিকল্পনা করে ফেলেছেন। এমনই দাবি কর্নাটকের ব্যবসায়ী ইউসুফ শরিফ ওরফে কেজিএফ বাবুর। এই পরিকল্পনার রূপায়ণে নিজস্ব ইস্তাহারও প্রকাশ করে ফেলেছেন তিনি।
কেজিএফের দাবি, ২০২২-’২৭ সালে চিকপেট এলাকার প্রতিটি পরিবারকে ৫,০০০ টাকা করে দান করবেন। সেই সঙ্গে এলাকার বস্তিবাসীদের জমির বিনিময়ে বহুতল গড়ে দিতে চান। কেজিএফের এই ঘোষণার পরেই বেঙ্গালুরুতে তাঁর প্রাসাদোপম বাড়িতে কংগ্রেসের কর্মীদের ঢল নেমেছে বলে দাবি। সংবাদমাধ্যমে কেজিএফের দাবি, ‘‘ভোটের কথা মাথায় রেখে এই অর্থ দান করছি না। যে চিকপেটে আমি বেড়ে উঠেছি, তার বাসিন্দাদের সাহায্য করাই আমার উদ্দেশ্য। দীর্ঘ দিন ধরেই সমাজসেবা করছি। সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়াই আসল লক্ষ্য।’’
বস্তুত, ২০২১ সালের বিধান পরিষদের নির্বাচনে বেঙ্গালুরু আর্বান কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটেই প্রার্থী হয়েছিলেন কেজিএফ। যদিও ৩৯৭ ভোটে হেরে যান তিনি। তবে হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ্যে আসার পর শিরোনামে চলে এসেছিলেন। হলফনামায় কেজিএফ জানিয়েছিলেন, ১,৭৪৩ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। ওই হলফনামা অনুযায়ী, কর্নাটকের ক্ষুদ্র শিল্পমন্ত্রী এমটিবি নাগরাজ (যাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১,২০০ কোটি টাকা)-কে ছাপিয়ে কর্নাটকের ধনীতম রাজনীতিকের তকমা পেয়েছিলেন কেজিএফ।
চিকপেট বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও কেজিএফের কাছে এখনও কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। তবে তাঁর আশা, ৩১ অগস্টের আগে তা-ও পেয়ে যাবেন। সে দিন থেকেই দানের অর্থ ঢালা শুরু করতে চান কেজিএফ। তিনি বলেন, ‘‘চিকপেট এলাকার প্রতিটি ঘরের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পড়ুয়ার জন্য ৫,০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পাঁচ বছরে সে কাজে ১২৫ কোটি টাকা খরচ হবে। এ ছাড়া, অন্তত হাজার পাঁচেক কলেজপড়ুয়াকে ৫,০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। সে জন্য সাড়ে সাত কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি।’’ এলাকার বস্তিবাসীদের জন্য ১৮০ কোটি টাকা খরচ করে লিফ্ট-সহ বহুতল গড়ে দিতে চান বলে দাবি করেছেন কেজিএফ। যদিও তাঁর শর্ত, ‘‘বস্তিবাসীরা তাঁদের জমি দান করলে তবেই এ কাজে হাত দেব। প্রত্যেককে ছ’লাখ টাকা দামের ফ্ল্যাট গড়ে দেওয়া হবে।’’ এই ঢালাও প্রতিশ্রুতির পর শেষমেশ কেজিএফ ভোটের টিকিট পান কি না, এখন তা-ই দেখার!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy