গঙ্গারামপুরে কানহাইয়া। নিজস্ব চিত্র
নোট-বাতিল, জিএসটি থেকে এনআরসি— প্রতিটি ক্ষেত্রেই নরেন্দ্র মোদী সরকার সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও আতঙ্কের পরিস্থিতিতে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করলেন কানহাইয়া কুমার। রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের রবীন্দ্রভবনে বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠন আয়োজিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এ ভাবেই সরব হলেন তিনি।
প্রকাশ্য সমাবেশের অনুমতি না পেয়ে এ দিন রবীন্দ্রভবনে কানহাইয়ার ঘরোয়া সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় কানহাইয়া বলেন, ‘‘কালোটাকা ফেরত আসবে বলে নোটবাতিল করা হল। ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ মারা গেল। অসুস্থ হয়ে অনেক ব্যাঙ্ককর্মীরও মৃত্যু হল। বিদেশি ব্যাঙ্কে জমানো কালোটাকা উদ্ধারের জন্য দেশের মানুষকে এ ভাবে হয়রান করার প্রয়োজন ছিল না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কর চুরি হচ্ছে বলে জিএসটি চালু করা হল। তার জেরে ছোট ছোট ব্যবসা বন্ধ হয়ে এখন দেশের চরম আর্থিক মন্দা।’’
এনআরসি প্রসঙ্গেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘জঙ্গিদমনে এনআরসি চালুর সঙ্গে আমজনতার কী সম্পর্ক? বিএসএফ, গোয়েন্দা বিভাগই তো তা রুখতে সক্ষম।’’ তাঁর কথায়, ‘‘হাসপাতাল, রাস্তা, কর্মসংস্থানে নজর নেই। অথচ রাজ্যে রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির উদ্যোগ চলছে।’’ এ ভাবে দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন কানহাইয়া।
এ দিন ইটাহারের চৌরাস্তা মোড় এলাকাতেও এক সভায় যোগ দেন কানহাইয়া। সেখানে ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিআই নেতা শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়। সেখানেও কানহাইয়া বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার এ রাজ্যে এনআরসি লাগু করে উদ্বাস্তু, দলিত, সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করছে।’’ এ নিয়ে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি নির্মল দামের বক্তব্য, ‘‘বিরোধীরা এনআরসি নিয়ে বাসিন্দাদের ভুল বোঝাচ্ছে। বিরোধী দলের নেতারা এনআরসি কী, সেটাই জানেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy