বুধবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ৪৫ মিনিটে ২৫টি যোগাসন করবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। তিনি থাকবেন লখনউতে। আর তাঁর মনোনীত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী রামনাথ কোবিন্দ যোগের কসরতে অংশ নেবেন দিল্লির প্রাণকেন্দ্র সেন্ট্রাল পার্কে। আগামীতে তাঁর সম্ভাব্য বাসভবন, রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে।
শিমলায় রাষ্ট্রপতির গ্রীষ্মনিবাসে এই কোবিন্দই প্রবেশের অনুমতি পাননি মাত্র তিন সপ্তাহ আগে। এখন মাত্র এক মাস পরে রাইসিনা হিলসে তাঁর আনুষ্ঠানিক প্রবেশ অনেকটা পাকাই। আপাতত তিনি এখন নিজেকে বন্দি রেখেছেন দিল্লির বিহার নিবাসে। ১৯৯৪ সালে বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব ভবনটি উদ্বোধন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ ঘরটিও লালু নিজের মতো সাজিয়ে রেখেছেন। যার ফলে নীতীশ কুমার দিল্লি এলে এখন ‘বিহার নিবাসে’ থাকেন না। চাণক্যপুরীতে আর একটু দূরে ‘বিহার ভবনে’ই থাকেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কনভয়ের দিকে হাত তুলে পুরস্কার
লক্ষণীয় হল, বিহারের রাজ্যপাল কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করাটা লালুজির মোটেও পছন্দ হয়নি। তিনি খোলাখুলিই বিরোধিতা করেছেন। স্বাগত জানিয়েছেন বরং নীতীশ। যা নিয়ে লালুর সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট জল্পনা এমনিতেই চলছে। এ দিন আবার সেই নীতীশই যোগ নিয়ে প্রচারে বাড়াবাড়ির সমালোচনা করে খানিকটা ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করলেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতিতে ডুবিয়ে দিয়েছেন কোবিন্দ।
আজ সারাদিনে একবার মাত্র বেরিয়েছেন ডেরা থেকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। পায়ে চোট পাওয়ার পরে রাজনাথ এখন ঘরবন্দি। এ বাদে সকাল থেকেই মন্ত্রীদের ঢল নেমেছিল কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করার জন্য। রবিশঙ্কর প্রসাদ, হর্ষবর্ধন, বিজয় গোয়েলের মতো মোদীর মন্ত্রীরা একে একে দেখা করে শুভেচ্ছা জানান। বিকেলে অনন্ত কুমার, মুখতার আব্বাস নকভি, ভূপেন্দ্র যাদবরা এলেন। দিনভর আরও অগুনতি লোক। যার জেরে দুপুরে বিহার নিবাসের দেড়শো জনের খাবারই নিমেষে উবে গেল কোবিন্দের অতিথিদের দৌলতে। আশেপাশে গোয়া নিবাস, অরুণাচল ভবনের ছাতেও ভিড় জমেছিল সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতিকে এক ঝলক দেখার জন্য। এনএসজি কম্যান্ডো এনে কোবিন্দের নিরাপত্তাও এখন থেকেই এমন আটোসাঁটো করা হয়েছে, যেন তিনি রাষ্ট্রপতি হয়েই গিয়েছেন।
গত কালই বিহারের রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কোবিন্দ। কারণ রাষ্ট্রপতি পদে লড়তে হলে পদ ছাড়তে হয়। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকেই অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিহারের। শুক্রবার সকালে মনোনয়ন পেশ করেই রাজনৈতিক দলগুলির সমর্থন চাইতে সফরে বেরোবেন কোবিন্দ। যাবেন বিরোধী নেতাদের কাছেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy