বিধানসভা নির্বাচনে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এলেও সরকার হয়নি তাঁদের। তবে বিহারে হাল ছাড়ছেন না আরজেডি সুপ্রিমো। বরং জেলে বসে এনডিএ-র বিধায়ক ভাঙানোর চেষ্টা করছেন তিনি। পশুখাদ্য মামলা জেলবন্দি লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে এ বার এমনই অভিযোগ তুললেন রাজ্যের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা সুশীলকুমার মোদী। ৫০ বছর পর বিহার বিধানসভায় স্পিকার নির্বাচনের আগেই লালু সক্রিয় হয়ে ওঠেন বলে দাবি তাঁর।
জেলে বসে লালু নির্বাচনী কৌশল তৈরি করছেন, কাকে টিকিট দেওয়া হবে, তা স্থির করছেন বলে বিধানসভা নির্বাচনের আগেও অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। বুধবার টুইটারে একটি অডিয়ো রেকর্ডিং পোস্ট করেন সুশীল। তাতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরের এমএলএ লাল্লন যাদবের সঙ্গে এক ব্যক্তির কথোপথন ধরা পড়ে। স্পিকার নির্বাচনের সময় বিধানসভায় লাল্লনকে করোনার দোহাই দিয়ে অনুপস্থিত থাকার পরামর্শ দেন ওই ব্যক্তি। নির্দেশ মানলে লাল্লনকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিতে শোনা যায় তাঁকে।
সুশীলের দাবি, লাল্লনকে মন্ত্রিত্বের লোভ দেখানো ওই ব্যক্তি আর কেউ নন, স্বয়ং লালুপ্রসাদ যাদব। রাঁচি থেকে ফোনে লালু এনডিএ বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করেন তিনি। একটি ফোন নম্বর তুলে ধরে সুশীল লেখেন, ‘রাঁচি থেকে ৮০৫১২১৬৩০২ নম্বর থেকে এনডিএ বিধায়কদের ফোন করে মন্ত্রিত্বের লোভ দেখাচ্ছেন লালু যাদব। আমি ওই নম্বরে ঘুরিয়ে ফোন করলে সরাসরি লালুই ফোন ধরেন। আমি ওঁকে জানিয়ে দিই, জেলে বসে যতই নোংরা রাজনীতি করুন না কেন, সফল হবেন না’।