বিচার বিভাগ ও বেসরকারি ক্ষেত্রে দলিতদের সংরক্ষণের দাবি নিয়ে এক দিকে সরব হচ্ছেন নীতীশ কুমার। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে সফল হতে এটাই তাঁর নির্বাচনী হাতিয়ার। সেখানে ঘরের মাঠে নীতীশ কুমারের উপরে চাপ তৈরি করতে বিহারে বিহারিদের জন্য ৮০ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণে সরব হলেন লালুপ্রসাদ।
লালুপ্রসাদের দাবি, ‘‘রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি সমস্ত চাকরিতে বিহারিদের জন্য ৮০ শতাংশ সংরক্ষণ দিতে হবে।’’ বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন লালু। জাতপাত বা ধর্মের ভিত্তিতে নয়, রাজ্যের সমস্ত বাসিন্দারা যাতে চাকরিতে নিজেদের অধিকার রাখতে পারেন সে কারণেই এমন দাবি আরজেডি প্রধানের।
দেশের বিচার বিভাগে এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে দলিতদের জন্য নীতীশ সংগক্ষণের দাবি তোলার পরেই বিহারে নিজের জমি শক্ত করতে শুরু করেছেন লালুপ্রসাদ। রাজ্যের যুবকদের সামনে নিজের ‘বিহারি’ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। সে কারণেই সরকারি চাকরিতে ৮০ শতাংশ বিহারির জন্য সংরক্ষণ চেয়ে বসেছেন।
বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং বিহার স্টাফ সিলেকশন কমিশন মূলত রাজ্যের সরকারি কর্মী বাছাই করে। অবিলম্বে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য এই দু’টি সংস্থার কাছে দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের জোট সরকারের বড় শরিক। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের রাজ্যের ছেলেরা অন্যত্র চাকরির জন্য হা-হুতাশ করছে। আর আমাদের এখানের চাকরি অন্য লোকেরা দখল করে নিচ্ছে! এ হতে পারে না।’’ লালুর দাবি, রাজ্য সরকারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে ভিন রাজ্যের লোকেরা বেশি মাত্রায় রয়েছে।
লালুপ্রসাদের কথায়, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোফেসর পদে ভিন রাজ্যের ছেলেদের রমরমা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বেশিরভাগ নিয়োগেই ভিন রাজ্যের ছেলেরা স্থান পেয়েছে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া বিহারের বেশ কিছু কলেজে বাঙালি শিক্ষকরাও চাকরি করেন। এ ছাড়া, ভাগলপুর-সহ উত্তর বিহারের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে বাঙালি শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছেন। লালুপ্রসাদের এই ঘোষণায় তাঁরা রীতিমতো আতঙ্কিত। তবে এখনই এ নিয়ে কিছু বলতে চাইছেন না কেউ।
উত্তরপ্রদেশ থেকে নীতীশকে বিহারে ফেরাতেই লালু এমন চাল চেলেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অনেকের মতে, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা থেকে চোখ ফেরাতে জেনেবুঝেই এমন প্রস্তাব দিয়েছেন লালু। চাইছেন জলঘোলা শুরু হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy