‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের দিল্লির বাড়ি-সহ ১৫টি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালাল ইডি। ফাইল চিত্র।
‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের দিল্লির বাড়ি-সহ ১৫টি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। চলতি সপ্তাহেই এই মামলায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ এবং তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। লালু এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। এ বার আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ‘নিশানা’ করল লালু-রাবড়ীর পুত্র তেজস্বীকে।
‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ, তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী-সহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সমন জারি করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটের ভিত্তিতে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে লালুদের জবাব তলব করা হয় ওই সমনে। তার পরেই নতুন করে ‘সক্রিয়তা’ শুরু করেছে সিবিআই এবং ইডি। অসুস্থ লালু এবং তাঁর কন্যা মিসাকে গত মঙ্গলবার এই মামলায় সিবিআই টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। সোমবার পটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল রাবড়ীকে। রবিবারই সিবিআই এবং ইডির মতো সংস্থাকে অপব্যবহার করার অভিযোগ তুলে মোদীকে চিঠি দেন রাবড়ী-পুত্র তেজস্বী-সহ ৯ জন বিরোধী নেতানেত্রী। ঘটনাচক্রে তার পরই রাবড়ীর বাড়িতে হানা দিল সিবিআই।
প্রসঙ্গত, লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের ‘গ্রুপ ডি’ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে গত বছরের ২০ মে সিবিআই পটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। এর পর অগস্টে অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে।
গত ২২ অক্টোবর ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। চার্জশিটে শুধু লালুপ্রসাদ নন, লালু-পত্নী রাবড়ী দেবী, লালুর দুই কন্যা মিসা ভারতী এবং হেমা যাদবের নামও রয়েছে। এ ছাড়াও আরও ১২ জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে। সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বিভিন্ন ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা-সহ রেলের বিভিন্ন জ়োনে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। অবৈধ উপায়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকা বা জমি নিয়েছিলেন লালুর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy