অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
ঘরের মধ্যে লুকিয়েই রেখেছিলেন ছোট্ট ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার সঙ্গে অপর ঘরে রাখা টিভির সরাসরি যোগ ছিল। শুধু টিভি নয়, গোপন ক্যামেরার সঙ্গে যোগ ছিল মোবাইলেরও। আর তা থেকেই তরুণী পেইং গেস্টদের ছবি-ভিডিয়ো দেখতেন।
বেশ কিছু দিন চলছিল এ ভাবেই। তাল কাটে যখন পেইং গেস্ট এক তরুণী ঘরের মধ্যে একটি ইলেকট্রনিক অ্যাডপটার কাপড়ে জড়ানো অবস্থায় দেখতে পান। সন্দেহ হয় ওই তাঁর। বিষয়টি অপর তিন জনকেও জানান। সন্দেহের বশে বিষয়টি বাড়িওয়ালাকেও জানান তাঁরা। কিন্তু, তিনি বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি।
এর পরই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশের তল্লাশিতেই সামনে আসে আসল তথ্য। জানা যায়, ৪৭ বছরের বাড়িওয়ালা মহিলা পেইং গেস্টদের ঘরে গোপান ক্যামেরা লুকিয়ে রাখেন।
আরও পড়ুন: খুন করে প্রাক্তন স্ত্রী-কে সাত মাস ফেসবুকে ‘বাঁচিয়ে’ রাখলেন চিকিত্সক
ঘটনাটি দক্ষিণ মুম্বইয়ে। গত ১৯ ডিসেম্বর তরুণীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিবি মার্গ পুলিশ গ্রেফতার করে ওই ব্যক্তিকে। ধৃত ওই ব্যক্তির মোবাইল থেকে তরুণীদের অনেক ছবি-ভিডিয়ো উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিদেশে নয়, ভারতেই আছে এই চমকে দেওয়া ব্রিজগুলো
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে গোপন ক্যামেরা বসানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন ওই অভিযুক্ত। উল্টে তিনি দাবি করেছিলেন, ইন্টারনেট সংযোগের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিবি মার্গ পুলিশের এই কর্তা জানান, যদিও শেষ পর্যন্ত জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করেন ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি তরুণীদের পরিচয় যাতে গোপন থাকে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। গত ২২ তারিখ জামিন পান ওই ব্যক্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy