দিল্লিতে তৃণমূলের শহিদ দিবস মঞ্চ।
তৃণমূলের ২১ জুলাই পালন এ বার বাংলা পার হয়ে সর্বভারতীয়। আর তাতে জাতীয় স্তরে অন্যান্য দলের সমর্থন পাওয়ার ছবিও দেখা গেল দিল্লিতে। রাজধানীতেও শহিদ দিবস পালনের কর্মসূচি নিয়েছে বাংলার শাসক দল। আর সেই মঞ্চেই দেখা গেল কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে। এ ছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিংহ, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামগোপাল যাদব। দলের সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেকে নিয়ে এসেছেন এনসিপি প্রধান তথা সাংসদ শরদ পাওয়ার।
বিধানসভা নির্বাচনে বড় শক্তি নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসার পরেই ‘দিল্লি চলো’ ডাকা দিয়েছে তৃণমূল। মনে করা হচ্ছে সেই ডাক বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকেও শোনা যেতে পারে। আর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করেই যে এ বারের শহিদ দিবস পালনকে সর্বভারতীয় চেহারা দেওয়ার উদ্যোগ তা আগেই স্পষ্ট করেছে তৃণমূল। দিল্লির মঞ্চে বিভিন্ন দলের নেতারা উপস্থিত থেকে সেই লক্ষ্যকে যেন আরও পরিষ্কার করে দিলেন।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেও এমন ভাবে বিভিন্ন দলের নেতাদের কলাকাতায় ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র্যালি’-তে এক করেছিলেন মমতা। ব্রিগেডের সমাবেশে গুজরাত থেকে এসেছিলেন পাটিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেল। ছিলেন শরদ পওয়ার থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব থেকে তৎকালীন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা। বক্তব্য রেখেছিলেন, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লা, কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খড়্গে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা দেবেগৌড়া-সহ আরও অনেকে।
লোকসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়ার বার্তা দিয়েও সাফল্য পায়নি তৃণমূলের উদ্যোগ। বড় শক্তি নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই তৃণমূলের সঙ্গে আজকের তৃণমূলের অনেক ফারাক। বাংলায় বড় শক্তি নিয়ে আসাই শুধু নয়, রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি-কে অনেকটাই কোণঠাসা করে দিয়েছে তৃণমূল। সেই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, দিল্লির মঞ্চে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিত্ব অবশ্যই তৃণমূলকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy