প্রতীকী চিত্র
বেজিংয়ে বৃষ্টি পড়লে নাকি তাঁরা বাগবাজারে ছাতা খোলেন! এ দেশের কমিউনিস্টদের প্রায়ই এমন কটাক্ষ শুনতে হয়। কিন্তু লাদাখে চিনের সঙ্গে ভারতীয় সেনার বিবাদের আবহে এ দেশের তিন বামপন্থী দল চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হল না। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাধবকুমার নেপাল বুধবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির কমিউনিস্ট পার্টির ভিডিয়ো কনফারেন্সের ডাক দিয়েছেন। সেই সম্মেলনে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগ তাদের দেশে কোভিডের মোকাবিলার কথা বিশদে জানাবে। কিন্তু সিপিএম, সিপিআই ও ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব একত্রে মাধবকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
বাম শিবির সূত্রের খবর, মাধবকুমার নেপাল নিজে একাধিক বার সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই-এর ডি রাজা ও পল্লব সেনগুপ্ত এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের দেবব্রত বিশ্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তার পরেও তাঁরা রাজি হননি। বাম সূত্রের ব্যাখ্যা, একে লাদাখের পরিস্থিতি। তার উপরে চিন নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব খাটাচ্ছে বলে অভিযোগ। নেপালে চিনের রাষ্ট্রদূত শ্রীমতি হোউ ইয়ানকি কিছু দিন আগেও প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির গদি রক্ষায় প্রবল সক্রিয় ছিলেন। তার মধ্যে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যেও ওলি-র সঙ্গে পুষ্ককুমার দহল, মাধব নেপালদের টানাপড়েন রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের কমিউনিস্ট নেতারা চিনের কমিউনিস্টদের সঙ্গে সম্মেলনে যোগ দিলে বিহার ভোটের আগে বিজেপি-আরএসএস তা নিয়ে অপপ্রচার শুরু করে দিত।
সূত্রের খবর, গালওয়ানে সংঘর্ষের পরেও চিনের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিএম, সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও আসলে লাদাখ নিয়ে বেজিংয়ের অবস্থান বোঝানোই যে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির উদ্দেশ্য, তা সিপিএম-সিপিআই-ফব নেতারা বুঝতে পারেন। তাই সে সময়ও তাঁরা বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy