দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর কাশ্মীরি চিকিৎসকের নাম জড়ানোর পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। নজরদারি বেড়েছে কাশ্মীরের বিভিন্ন হাসপাতালেও। অনন্তনাগ জেলার এক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের লকার ‘চেক’ করতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার থেকেই উপত্যকায় এই অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানাচ্ছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের ঠিক আগেই হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। ফরিদাবাদকাণ্ডের সঙ্গেও কাশ্মীরি চিকিৎসকদের নাম জড়িয়েছে। বুধবার থেকে যে হাসপাতালে লকারে তল্লাশি শুরু হয়েছে, সেই হাসপাতালটিও আগে থেকেই তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। এই হাসপাতালের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন ফরিদাবাদ বিস্ফোরক উদ্ধারকাণ্ডে অভিযুক্ত কাশ্মীরি চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাথর।
গত মাসেই শ্রীনগরে জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের পোস্টার সাঁটানোর সময়ে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন আদিল। পরে চলতি মাসের শুরুর দিকে অনন্তনাগের ওই হাসপাতালে হানা দেন তদন্তকারীরা। ওই অভিযানের সময় আদিলের লকার থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল পাওয়া গিয়েছিল। ওই ঘটনার পর থেকে কাশ্মীরের বিভিন্ন হাসপাতাল তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। দিল্লি বিস্ফোরণের ঠিক আগে আগেই কাশ্মীরের শ্রীনগর, অনন্তনাগ, শোপিয়ানের বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। এ বার অনন্তনাগের সেই হাসপাতালেই চিকিৎসকদের লকার তল্লাশি শুরু করল জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন:
অনন্তনাগ জেলা প্রশাসন সূত্রে পিটিআই জানাচ্ছে, দিল্লিতে বিস্ফোরণ এবং অস্ত্র উদ্ধারের পরে নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি করতেই এই অভিযান চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি হাসপাতালের পরিকাঠামো সঠিক ভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বস্তুত, গত ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে প্রাণ যায় অন্তত ১৩ জনের। আহত বহু। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরা কোনও না কোনও ভাবে জড়িত ছিলেন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে— হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে ধৃত মুজ়াম্মিল আহমেদ এবং শাহিন শাহিদ এবং দিল্লি বিস্ফোরণের ‘মানববোমা’ উমর উন নবি।