Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Locust Attack in India

দেড় সপ্তাহের বিরতির পর ফের পঙ্গপালের হানা, এ বার প্রয়াগরাজে

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মাঠে খাদ্যশষ্য বিশেষ নেই এখন। কিন্তু মাঠের পর মাঠ সব্জির খেত উজাড় করে দিয়েছে এই পতঙ্গের দল।

এ ভাবেই পঙ্গপালে ছেয়েছে আকাশ। তাড়ানোর চেষ্টা কৃষকদের। বৃহস্পতিবার প্রয়াগরাজে। ছবি: পিটিআই

এ ভাবেই পঙ্গপালে ছেয়েছে আকাশ। তাড়ানোর চেষ্টা কৃষকদের। বৃহস্পতিবার প্রয়াগরাজে। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
প্রয়াগরাজ শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২০ ১৭:১৪
Share: Save:

সপ্তাহ দেড়েকের বিরতি ছিল। তাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল। কিন্তু সেটা যে সাময়িক ছিল, ফের পঙ্গপাল হানা দিতেই তা বোঝা গেল। এ বার উত্তরপ্রদেশে। মঙ্গলবার রাত থেকে বিশাল এক পঙ্গপালের ঝাঁক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রয়াগরাজের (নাম পরিবর্তনের আগে ছিল ইলাহাবাদ) বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষি আধিকারিকরা জানিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পঙ্গপালের এই দলটি চওড়ায় প্রায় তিন কিলোমিটার এবং লম্বায় প্রায় এক কিলোমিটার। পঙ্গপাল তাড়াতে কীটনাশক ছড়ানো-সহ যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

মে মাসের শেষ সপ্তাহে পশ্চিম ও মধ্য ভারতের পাঁচ রাজ্য— রাজস্থান পঞ্জাব, গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে হানা দিয়েছিল পঙ্গপাল। প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে বিঘের পর বিঘে জমির ফসল-সব্জি, বাগানের লেবু-কলা ধ্বংস করার পর কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল পঙ্গপালের দল। মনে করা হচ্ছিল, এ বছরের মতো পতঙ্গবাহিনীর আক্রমণ থেকে নিস্তার পাওয়া গেল। কিন্তু সেই আশা ভুল প্রমাণ করে ফের হাজির কোটি কোটি পতঙ্গের ঝাঁক।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার রাত থেকে প্রথম তাঁরা পঙ্গপালের উপস্থিতি বুঝতে পারেন। বুধবার সারা দিন ধরে কোরাও ও মেজা এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকায় মাঠের ফসল খেয়ে প্রায় শেষ করে দিয়েছে। তবে মাঠে খাদ্যশস্য বিশেষ নেই এখন। কিন্তু মাঠের পর মাঠ সব্জির খেত উজাড় করে দিয়েছে এই পতঙ্গের দল। তার আগে শিংরাউলি, মির্জাপুর ও শোনভদ্র জেলার বিভিন্ন গ্রামেও পঙ্গপাল দেখা গিয়েছে। সেখানেও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আরও পড়ুন: আমার বিশ্বাস, কলকাতা আবার দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

এর পর বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে হানা দিয়েছে প্রয়াগরাজে। খবর পেয়েই প্রয়াগরাজের গ্রামে গ্রামে কৃষকদের পঙ্গপালের বিষয়ে সচেতন করার কাজ শুরু করেছেন কৃষি আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে দমকলের গাড়ির মাধ্যমে কীটনাশক ছেটানো। তীব্র শব্দ করে কৃষকরাও পঙ্গপাল তাড়ানোর চেষ্টা করছেন। স্থানীয় কৃষি দফতর জানিয়েছে, ধারওয়ারা, মাদেনি সিং কা পুরা, টালা, হাথসরা, লোহান্ডির মতো গ্রামে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগের বারের মতো এ বারও সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পঙ্গপালের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: ফের জম্মু কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক সেনার গোলা, নিহত সেনা জওয়ান

প্রয়াগরাজের মুখ্য উন্নয়ন আধিকারিক আশিস কুমার বলেন, ‘‘ব্লক ও জেলা আধিকারিক এবং গ্রামপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, পঙ্গপাল হানা দিলে কী করতে হবে। মাঠে অন্য ফসল নেই বলে সবজি ছাড়া তেমন কিছু ক্ষতির খবর নেই। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় রাসায়নিক মজুত রয়েছে। এ ছাড়া সংলগ্ন অন্য জেলাগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE