Advertisement
E-Paper

রাফাল নিয়ে ফের আক্রমণে কংগ্রেস

সেনাবাহিনীর দিক থেকেও নিরাপত্তার প্রশ্নে অস্বস্তির মুখে পড়েছে মোদী সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ০১:৪৮
প্রচারে: মধ্যপ্রদেশের নীমচ-এ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। পিটিআই

প্রচারে: মধ্যপ্রদেশের নীমচ-এ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। পিটিআই

দেশের নিরাপত্তা সুরক্ষিত হাতে রয়েছে বলে প্রচার করছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু টাকার অভাবে ১২৬টির বদলে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা হয়েছে বলে মন্তব্য করে কংগ্রেসের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী সোমবার গডকড়ী বলেন, সরকারের কোষাগারে অর্থ ছিল না বলেই ১২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের বদলে মাত্র ৩৬টি রাফাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই সূত্র ধরে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘অবশেষে সত্য সামনে এসেছে। ছদ্ম জাতীয়তাবাদী মোদী সরকার জাতীয় নিরাপত্তাকে উড়িয়ে দিয়েছে। বায়ুসেনা ও দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন খারিজ করে রাফাল যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ১২৬ থেকে ৩৬-এ নামিয়ে আনা হয়েছে।’’

সেনাবাহিনীর দিক থেকেও নিরাপত্তার প্রশ্নে অস্বস্তির মুখে পড়েছে মোদী সরকার। সেনাবাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে জানিয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ গোলাগুলি মেলার ফলে প্রচুর দুর্ঘটনা ঘটছে। এ জন্য অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের দিকেই আঙুল তুলেছে সেনা। অভিযোগ, ট্যাঙ্ক, কামান, বিমানধ্বংসী কামান ও অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য ত্রুটিপূর্ণ গোলাগুলি সরবরাহের ফলেই দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বফর্সের মতো কামানেও দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সেনা। যার জন্য সেনা দূরপাল্লার গোলা ছোড়াই বন্ধ রেখেছে। প্রশিক্ষণের সময়ও বিমানধ্বংসী কামান থেকে গোলা নিক্ষেপ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, মোদী জমানায় যদি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের এ হেন অবস্থা হয়, তা হলে প্রধানমন্ত্রী কিসের বড়াই করছেন?

ইউপিএ সরকারের আমলে ১২৬টি যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে দর কষাকষি চলছিল। কিন্তু মোদী সরকার এসে সেই চুক্তি বাতিল করে ৩৬টি বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। এত দিন মোদী সরকার ভিন্ন যুক্তি দিলেও নিতিন বলেছেন, অর্থের জোগান দেখেই বিমানের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত নথি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এমনিতেই সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল মোদী সরকার। ওই সব নথির ভিত্তিতে রাফালে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার রায় পুনর্বিবেচনা করা হবে কি না, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় সংরক্ষিত রেখেছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

Lok Sabha Election 2019 লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ Narendra Modi BJP Rafale Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy